ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনায় ইতি টানতে গত সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বেশ কয়েকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনজন কূটনীতিকের বরাতে দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সেই কূটনীতিকরা জানান, আলোচনায় আব্বাস আরাগচি স্পষ্ট করেছেন ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইরান আলোচনার টেবিলে ফিরবে না। গত মে মাসের শেষে, ইরানের বাইরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে একটি আঞ্চলিক কনসোর্টিয়াম গঠনের মার্কিন প্রস্তাব নিয়েও তারা আলোচনা করেন। এর আগে ইরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ বিষয়ে আমেরিকা ও ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উইটকফ-আরাগচির আলোচনা ছিল চলমান এ সংঘাতের মধ্যে ইরান-আমেরিকার সরাসরি সংলাপ।
তেহরান ঘনিষ্ঠ একজন কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘আরাগচি উইটকফকে বলেছেন, যদি আমেরিকা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেয়, তাহলে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে ইরান নমনীয় থাকতে পারে।’
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, ‘ইরান পারমাণবিক আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী তবে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে তা সম্ভব নয়।’
পরমাণু চুক্তির বিষয়ে গত এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ দফা আলোচনা করেছে ইরান ও আমেরিকা। কিন্তু এর আগে
আরাকচি ও উইটকফ সরাসরি কখনও কথা বলেননি।
একজন আঞ্চলিক কূটনীতিক জানান দুই পক্ষই সংঘাত নিরসন চায়। তিনি বলেন, ‘প্রথম টেলিফোনটি করা হয়েছিল ওয়াশিংটন থেকে। সে সময় তেহরানকে একটি নতুন প্রস্তাবও দেওয়া হয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাওয়া, ইরান যেন ইউরেনিয়াম মজুদ করা বন্ধ করে। অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি অবস্থান হলো, কোনো চাপের মুখে আপোস করা যাবে না।
ইসরায়েলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকা সেনা পাঠাবে কিনা তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি ট্রাম্প। তবে তিনি ইরানের সঙ্গে আবারও কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে বৈঠক করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।