ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের আশদদ শহরের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে বড় বিস্ফোরণ খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ১১তম দিন সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে দুদেশ। এরমধ্যেই ইসরায়েলে বিস্ফোরণের এ তথ্য পাওয়া গেল।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তেহরানে কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সদরদপ্তরও আছে। এছাড়াও এভিন কারাগারে হামলার কথাও জানান কাৎজ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, এভিন কারাগারে রাজনৈতিক বন্দিদের রেখেছিল ইরান সরকার। তবে কারাগার থেকে কোনো বন্দির পালিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি হামলার উত্তর তেহরানে পর বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, হরমুজ প্রণালি থেকে তিনটি তেলবাহী ট্যাংকারের গতিপথ পরিবর্তনের খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মেরিন ট্র্যাফিক ডাটা রিপোর্টের বরাত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্যাংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যারি সি এবং রেড রুবি। ট্যাংকারগুলো বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে নোঙর করেছে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, চলমান সংকটের মধ্যে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘আমি ইরানকে বলেছি, মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত বা হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ হবে তাদের জন্য একটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত।’
গত ১৩ জুন শুরু ইরানে আকস্মিক হামলা করে ইসরায়েলে। এরপর ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। ইরান জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই সংঘাতে ১৩ শিশুসহ ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে ২৪ জন।