পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খান জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন। বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ জামিন দেন। তবে, এ মামলায় জামিন পেলেও এখনি মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের। অন্য দুই মামলায় তাকে জেলেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা।
২০১৮-২২ সাল প্রধানমন্ত্রীত্ব থাকাকালে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী একটি রিয়েল স্টেট ডেভোলপার কোম্পানির কাছ থেকে একটি জমি উপহার নেওয়ায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে, এ বিষয়ে তিনি গত সপ্তাহে অস্বীকার করেন এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
তাঁর দলের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সে বলেন, ‘ইমরান খান এখনো দুই মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন এবং অপরটি হলো ইসলামিক বিবাহ আইন লঙ্ঘন।’
বুধবার যে মামলায় ইমরান খানকে জামিন দেওয়া হয় সেটি আল-কাদির ট্রাস্টের সাথে জড়িত, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর স্ত্রীসহ এ বেসরকারী কল্যাণ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রসিকিউটররা বলছেন, ট্রাস্টটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে ওই জমি নিয়েছিল। ইসলামাবাদের কাছে ওই জমির পরিমাণ প্রায় ৬০ একর এবং রাজধানীতে ইমরান খানের প্রাসাদের কাছে আরেকটি বড় প্লট রয়েছে।
জামিনের পরে ইমরান খানের মিডিয়া দলের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, যে জমিটি ব্যক্তিগত লাভের জন্য ওই জমি ইমরান খান নেয়নি। তিনি ওই জমিতে একটি ‘ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে জেলখানায় রয়েছেন তিনি। মোট চারটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তবে, এর মধ্যে দুই মামলার কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে।
ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এদিকে, আইন বর্হিভূতভাবে বিয়ে করার অপরাধে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও জেলখানায় রয়েছেন।