নরসিংদীর পলাশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করাসহ জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মেয়র প্রত্যাশী বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলের ওপর হামলা করে তাঁকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জেলা বিএনপিরি সহ-সাংগঠনিক ফজলুল কবির জুয়েলের মেজো ভাই হুমায়ুন কবির।
এর আগে গত রোববার (১৫ জুন) বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ নেতা-কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতার ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয়ভাবে জুয়েল ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় এবং প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন ও আলম মোল্লার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা হামলা করার অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন ও বিএনপি নেতা আলম মোল্লা।
এ ঘটনায় পলাশ থানায় দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির জানান, তাঁর ভাই জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ৩৬ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঘোড়াশাল পৌরসভার একজন মেয়র পদপ্রার্থী। সে লক্ষ্যে তিনি এলাকায় খেলাধুলাসহ অসহায় মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে রাজনীতি করছেন।
গত রোববার (১৫ জুন) বিকেলে পলাশ বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির প্রচারণা ও ঈদ পরবর্তী গণসংযোগ চালাতে গেলে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আলম মোল্লার নেতৃত্বে পাপন বাদশা, আরিফ, আমান উল্লাহসহ ১০০ থেকে ১৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে হামলার শিকার হন। এ সময় তাদের এলোপাথাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির আঘাতে জুয়েলসহ তার একাধিক সমর্থক গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি জুয়েলকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ভাতিজা তৈয়ব আলী, পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পথচারী সোহেল, মিঠু ও ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলও গুলিবিদ্ধ হন।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, জুয়েল আত্মরক্ষার্থে পলাশ মোড় সংলগ্ন মসজিদে অবস্থান করলে সেখানে গিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় জুয়েলের শাশুড়ি মমতাজ বেগম বাদী হয়ে আলম মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।