সেকশন

বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Independent Television
 

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্বই কাম্য

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতা, সমর্থনের কথা নিশ্চয় আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমাদের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে জীবন রক্ষা করেছিল প্রতিবেশী বাঙালি অধ্যুষিত তিন রাজ্যের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা–এই রাজ্য তিনটি অবাঙালি অধ্যুষিত হলে পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে না-ও থাকতে পারত। জাতীয়তার টান যে কত গভীর, ওই সময়ে শরণার্থীমাত্রই সেটা বুঝতে পেরেছিল। নানা সীমাবদ্ধতার পরও আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয়সহ সকল প্রকার সহযোগিতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছিল তিন রাজ্যের বাঙালিরা। অবাঙালিরা এমনটি যে করত না, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
 
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। এতে ভারত রাষ্ট্রের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক সুবিধার কথা বলা হয়। ভারত আমাদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের অভ্যন্তরে এসে যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধ করেছিল। ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তান ভারত আক্রমণের পরই ভারতীয় বাহিনী যুদ্ধে প্রত্যক্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাই পাকিস্তান ভাঙার দায় পাকিস্তানিদেরই। পাকিস্তানি সামরিক সরকার আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে রাষ্ট্র ভাঙার পথ প্রসারিত করেছিল। ভারত তো আগ বাড়িয়ে পাকিস্তান ভাঙতে আসেনি। বিপরীতে পাকিস্তানিরাই রাষ্ট্র ভাঙার মূল কাজটি করেছিল। পাকিস্তানি উপনিবেশ থেকে আমাদের মুক্তির জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র ভাঙা তো অপরিহার্য ছিল। ২৩ বছরের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানি রাষ্ট্রের অধীনে আমাদের থাকা সম্ভব নয়। জাতিগত বিদ্বেষ ধর্মীয় ঐক্যকে বিদ্বেষমুক্ত করেনি; বরং, জাতিগত ভিন্নতায় বিদ্বেষ-বৈষম্য ছিল সর্বাধিক।

ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের ফলেই আমাদের স্বাধীনতা লাভ দ্রুত সম্ভব হয়েছিল, এটা খুবই সত্য। তবে ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক সহযোগিতা ব্যতিরেকে বিলম্বে হলেও আমাদের স্বাধীনতা আমরা নিশ্চয় অর্জন করতাম, এটাও অসত্য নয়। ভারতের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা নিশ্চয় রয়েছে। তাই বলে আনুগত্য কিন্তু নেই। আমাদের বন্ধুত্ব দ্বিপক্ষীয় হবে–এটাই ছিল প্রত্যাশিত। বাস্তবে তেমনটি হয়েছিল, সেটা কিন্তু বলা যাবে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একপক্ষীয় ছিল বললে ভুল হবে না।

বৃহৎ ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিগত সরকারের সাথেই ছিল সর্বাধিক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক অম্ল-মধুর বলা যায়। বৃহৎ রাষ্ট্রের কর্তৃত্বপরায়ণতায় প্রতিবেশী দেশের সরকারগুলো নিশ্চুপ থাকলেও জনগণের মধ্যে অসন্তোষ কিন্তু বিরাজমান। আমাদের দেশবাসীর ক্ষেত্রেও সেটা দেখা গেছে। কারণগুলোও কিন্তু অমূলক নয়।


ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলক চালুর অনুমতি নিয়ে বিগত অর্ধশতবর্ষব্যাপী ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনকে তোয়াক্কা না করে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে আমাদের মরুদেশে পরিণত করেছে। তিস্তার পানি না-দিয়েও একই পন্থা অবলম্বন করেছে। কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবাঙালি বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অভিযান চলেছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রেও রয়েছে একচ্ছত্র ভারতের রপ্তানির আধিপত্য। ভারতকে প্রতিদানহীন একতরফা করিডোর সুবিধা প্রদানে দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয়। প্রাপ্তিশূন্য করিডোর প্রদানে শেখ হাসিনা সরকারের নতজানু নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষে কোনো আন্দোলন দানা বাঁধতে পারেনি। অথচ আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সফরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘ভারতকে যা দিয়েছি তারা তা কোনোদিন ভুলতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ বিনিময় চায় না। আমরা দিতেই ভালোবাসি, পেতে নয়।’ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থরক্ষা করেই সকল রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরূপ একতরফা নজির বোধ করি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমাম ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেছিলেন, ‘ভারতের মন ভোলানোর হাজার চেষ্টা চালালেও বিএনপি নেতারা সফল হবে না।’ তিস্তা চুক্তি না-হবার বিষয়ে বলেছিলেন, ‘অধরা তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলবেই। কিন্তু তিস্তা এখন আর মোটেও কোনো সমস্যা নয়। আজ হোক কাল হোক তিস্তা চুক্তি সই হবেই। দুই প্রতিবেশীর কারও কাছেই এটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না।’ তিস্তাকে সমস্যা না বলা এবং চুক্তি না হওয়া আমাদের প্রতি ভারতের অবিচার বললে নিশ্চয় অন্যায় হবে না। ভারতের সাথে বহু অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান না করে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দিতেই ভালোবাসেন, পেতে নয়।

আমাদের ভূখণ্ডে প্রতিটি রাজনৈতিক বাঁকে বিপদগ্রস্ত এবং আক্রান্ত হয়ে এসেছে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। যার সূচনা ঘটেছিল ১৯৪৭-এর দেশভাগে। এরপর ১৯৫০-এর দাঙ্গা, ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যায় হিন্দু, মুসলিম নির্বিশেষে আক্রান্তের শিকার হয়েছিল বাঙালি জাতি। তুলনামূলকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল। পাকিস্তান থেকে আগত সেনা-সদস্যদের হিন্দু সম্প্রদায় পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তেমন বার্তাই তাদের দেওয়া হয়েছিল। হত্যাকারীরা তাই হিন্দুদেরকেই হত্যার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে। তবে গণহত্যাকালে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বাছ-বিচার হত্যাকারী সেনাবাহিনী করেনি। আত্মরক্ষায় প্রতিবেশী ভারতের এক কোটি শরণার্থীর বেশির ভাগই ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সাতচল্লিশ থেকে দেশত্যাগের ধারাবাহিকতায় তারা পলায়নপরতায় এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল যে, পরিস্থিতি আঁচ করে দ্রুত দেশত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নেয়।

বাবরি মসজিদ। ফাইল ছবি
স্বাধীনতার পর ১৯৭৫-এর মধ্য আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে, বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে সৃষ্ট দাঙ্গায়, ২০০১ সালে ক্ষমতার পালাবদলে এবং এবারের ২০২৪-এর ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর একই কায়দার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর মানবতাবিরোধী হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, ছিল অতীতের ন্যায় তাদের সম্পত্তি, অর্থকড়ি লুণ্ঠনের অভিপ্রায়টি। এবং মূলে ছিল ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতা।

এবারের হিন্দুদের সমাবেশ থেকে একটি স্লোগান তারা তুলেছে। যেটা কারও কারও কাছে আপত্তিকর বলে বিবেচিত হয়েছে। সেটা হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’। ইতিপূর্বে আমাদের দেশে এ ধরনের স্লোগান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেয়নি। এই স্লোগান হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের স্লোগান। সারা ভারতে কেবল হিন্দু জাতীয়তাবাদী আরএসএস এবং তার রাজনৈতিক সংগঠন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি এই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটি দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ভারতের অন্য কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক এমনকি সাধারণ আম-জনতা এই স্লোগানটি দেয় না। স্লোগানটি অনিবার্যরূপে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক আরএসএস, বিজেপির স্লোগান। আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কেন এই স্লোগান দিচ্ছে? অনেকে ইতিমধ্যে এই স্লোগানের জন্য হিন্দুদের আরএসএস-ভুক্ত বলেও প্রশ্ন তুলেছে। অনতিবিলম্বে তাদের হিন্দুত্ববাদী এই স্লোগান পরিহার করতে হবে। নয়তো জনমনে ধারণা জন্মাবে, তারা হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা শুরু করেছে। 

ভিডিও দেখুন:
ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের উত্থান ও অহিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক নৃশংতার ফলে বাংলাদেশের মানুষ ক্রমেই ভারত-বিরোধী হয়ে পড়েছে। আর বিগত সরকারের নতজানু নীতিতেও মানুষ ক্ষুব্ধ। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারকে কেন্দ্র করে। আমাদের দেশের সিংহভাগ ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ ভারতীয় দলের সমর্থক ছিল। কিন্তু বাংলাদেশকে তাদের স্বার্থের স্থলে পরিণত করার ফলে মানুষ ভারতের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের কতিপয় তরুণ ভারতের পরাজয়ে উল্লাস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার জেরে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসায় যাওয়া বাংলাদেশি মানুষদের চরম অপমান করা হয়েছে। পারলে গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানোর ন্যায় আচরণ পর্যন্ত করেছে বিজেপির সমর্থকেরা। রাজ্য বিজেপির সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্যামেরার সামনে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। ওটা এখন ইসলামি রাষ্ট্র হয়েছে। ওদের আমরা ছাড়ব না। দেখে নেব।’

আমাদের দেশের সর্বাধিক মানুষ ভারতে ভ্রমণে যায়। অবাঙালি বিএসএফ, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের হয়রানিমূলক তল্লাশি, শত্রুতুল্য আচরণ সহ্য করে। কিন্তু ভিসা বন্ধ করার কারণে এখন ভারতে যাওয়া ভ্রমণকারীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। ভারত আমাদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। কোনো বন্ধু দেশের নাগরিকদের প্রতি এমন আচরণ পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে না-ঘটলেও বাংলাদেশিদের সাথে ঘটেছে। এতে অসুবিধার সম্মুখীন হবে কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিটসহ নিউমার্কেট সংলগ্ন বিশাল এলাকার আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী, খাদ্যের দোকানি এবং নিউমার্কেট অঞ্চলের পণ্য বিক্রেতারা। এমনকি মানি এক্সচেঞ্জ-এর দোকানগুলোও। বাংলাদেশিদের ওপর ভিত্তি করেই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের রমরমা অবস্থায় এখন ভাটার টানে তারা দিশেহারা।

বাংলাদেশের ওপর ভারতীয় কর্তৃত্ব কারও অজানা নয়। আমাদের শাসকদের ভারতীয় ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দেবার প্রবণতা মোটাদাগে লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হবার ব্যাপারেও আমাদের শাসকশ্রেণির দলগুলোর ভারতমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ক্ষমতায় থাকা-না থাকা নির্ভর করে বলে আমাদের শাসকেরা মান্য করেছেন।

১৯৪৭-এ পাকিস্তান এবং ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দুবার রাষ্ট্রের বদল ঘটেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। সে অর্থে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ও নিকট প্রতিবেশী। তবে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ভারতের শাসকগোষ্ঠী এযাবৎ বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপনে সমর্থ হয়নি। ভারত তার দুর্বল প্রতিবেশীদের প্রতি সুবিবেচনা-সুবিচার করতে অসমর্থ বলেই প্রতিটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণই ভারতবিদ্বেষী হয়ে পড়েছে। 

ভারতের শাসক শ্রেণি, আমলাতন্ত্রের শিকার ভারতীয় জনগণ। ভারতীয় জনগণও নিজ দেশের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শোষণ-বঞ্চনা অবসানে আমাদের মতো তারাও অব্যাহত সংগ্রাম জারি রেখেছে। ভারতীয় জনগণ এবং আমাদের জনগণের সার্বিক অবস্থা অভিন্ন। ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র এবং আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। ভারতের শাসকশ্রেণি নিজ দেশের সমষ্টিগত জনগণের প্রতিপক্ষ এবং শত্রুও বটে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে ভারত আমাদের নিকট-বন্ধু হিসেবে সর্বদা পাশে থাকবে–সেটাই ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু ভারত আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ না করে বিপরীতে প্রভুত্ব জাহির করে এসেছে। তাই ক্রমশ ভারত বিরোধী মনোভাব দেশে গড়ে উঠছে। যেটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। 

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত

[এই মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।]

অবশেষে যুদ্ধবিরতি। আমি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা বলছি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় শেষ পর্যন্ত দুই দেশ এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ভারতের রাজনীতির একটা বিশেষ অস্ত্র হলো পাকিস্তান-বিরোধী অবস্থান।...
উপমহাদেশে যেকোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আঞ্চলিক, এমনকি বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত প্রভাব পড়বে। অতএব পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণের অধীনে থাকতে হবে এবং বৃহৎ শক্তিগুলো...
ভারত যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেবে, সেটি এক অর্থে অনুমিতই ছিল। অন্তত ভারত ও পাকিস্তানের গত ১০ বছরের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে যারা একটু-আধটু খোঁজখবর রাখেন, তারা এই...
ফলে কাশ্মীর হামলা যেমন, তেমনি এর জবাব হিসেবে পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক দাবাখেলার ছকে বসেই পাঠ করতে হবে। এখানে চীন পাকিস্তানের মিত্র, মিয়ানমারেরও মিত্র। আবার যুক্তরাষ্ট্র ভারতের...
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে মো. রতন মোল্লার (৪৫) নামে ডাকাতি মামলার এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত রতন মোল্লা পাবনা জেলার বেড়া...
রাজধানীর ওয়ারীর জোরপুল লেনের নিজ বাড়িতে ফ্রিজের বিদ্যুৎ বোর্ডে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোছা. জান্নাত নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা...
অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বুধবার রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনর মেয়রের হিসেবে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে...
লোডিং...
পঠিতনির্বাচিত

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.