পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ধাক্কা এখনো কাটেনি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এমনিতেই প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে গিয়েছিল। নতুন করে এই সন্ত্রাসী হামলা দুই দেশের মধ্যে আবার যুদ্ধের আমেজ ফিরিয়ে এনেছে।
এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লড়াইয়ে নেমে গেছেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি ও ভারতের শিখর ধাওয়ান।
সন্ত্রাসী হামলার পর সামা টিভির সঙ্গে কথোপকথনে আফ্রিদি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘সেখানে বাজি ফুটলেও তোমরা পাকিস্তানকে দায়ী কর। কাশ্মীরে তোমাদের ৮ লাখ সৈন্যের সেনাবাহিনী আছে, তারপরও এটা ঘটল। এই মানুষদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি তার মানে হলো আপনারা অকর্মা, অযোগ্য।’
এদিকে ভারতীয় সৈন্য নিয়ে আফ্রিদির এমন অপমানদায়ক মন্তব্য সহ্য হয়নি শিখর ধাওয়ানের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সাবেক ওপেনার লিখেছেন, ‘আমরা কিন্তু কার্গিলে তোমাদের হারিয়েছি। এমনিতেই অনেক নিচে নেমেছ; আর কত নিচে নামবে? ভিত্তিহীন মন্তব্য না করে নিজের দেশের উন্নয়নে মন দেওয়াটাই ভালো হবে। আমাদের ভারতীয় সেনা নিয়ে গর্বিত আমরা। ভারত মায়ের জয়! জয় হিন্দ!’
এমন কড়া মন্তব্যের পর আফ্রিদি জবাবটা বেশ অদ্ভুত দিয়েছেন। বলেছেন, ‘জয় পরাজয়ের কথা বাদ দাও, চলো তোমাকে চা পান করাই।’ পোস্টের সঙ্গে আর্মি পোশাক পরে চা হাতে নিজের ছবি দিয়েছেন। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ফ্যান্টাস্টিক টি!
এই চায়ের নিমন্ত্রণের মন্তব্যের পেছনে লুকিয়ে আছে খোঁচা। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের সীমানায় গুলি করে ভারতীয় এয়ার ফোর্সের উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্থামানের বিমান নামিয়েছিল পাকিস্তান এয়ার ফোর্স। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে চা দেওয়া হয়েছিল। অভিনন্দনের চা খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
এমন পোস্টের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেননি শিখর ধাওয়ান। তবে আফ্রিদির কথার কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। পেহেলগাম হামলার পর নিজ দেশের সমালোচনায় মাতা এই ক্রিকেটার আগ থেকেই আফ্রিদি বিদ্বেষী। নতুন করে আফ্রিদির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটা খুব হাস্যকর হিন্দুর সঙ্গে বসতে বা খেতে রাজি না এমন একজন হঠাৎ করে চায়ের আমন্ত্রণ দিচ্ছে- জানতাম না ভণ্ডামির সঙ্গে চায়ের নিমন্ত্রণও থাকে।’