গতকালকের আগ পর্যন্ত আফ্রিকান কোনো দেশ ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। সব মিলিয়ে ২১ ম্যাচে আফ্রিকান দলগুলোর বিপক্ষে ইংল্যান্ডের রেকর্ড দেখার মতোই ছিল - ১৫ জয়, ৬ ড্র।
সেদিক থেকে দেখলে ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে গতকাল রাতে ইতিহাস গড়েছে সেনেগাল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। সেটাও কী, সেনেগাল এই জয়টা পেয়েছে তাদের অন্যতম সেরা তারকা সাদিও মানেকে ছাড়াই। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও ২৪ ম্যাচে নিয়ে গেছে সেনেগাল!
টমাস টুখেলের অধীনে নতুন স্বপ্ন দেখা ইংল্যান্ড গত শনিবার পুঁচকে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ঘাম ঝরিয়ে জিতেছিল মাত্র ১-০ গোলে। তবে চারদিন পরই হারের মুখ দেখলেন হ্যারি কেইনরা, টুখেলের অধীনে চতুর্থ ম্যাচে প্রথম হার তাদের।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ১০টি পরিবর্তন নিয়ে গতকাল মাঠে নামে ইংল্যান্ড। নটিংহ্যামের সিটি গ্রাউন্ডে প্রথমার্ধের সপ্তম মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন। তবে ৪০তম মিনিটে ইসমাইলা সারের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬২তম মিনিটে হাবিব দিয়ারার গোলে সেনেগালিজরা এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইংল্যান্ড চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। জুড বেলিংহাম ৮৪ মিনিটে বল জালে জড়ালেও হ্যান্ডবলের অভিযোগে তা বাতিল করে ভিএআর। উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে চিখ সাবালি ইংল্যান্ডের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
৩-১ ব্যবধানে হারের পরও ইংলিশ কোচ থমাস টুখেল চিন্তিত নন। সংবাদ সম্মেলনে টুখেল বলেন, ‘হতাশাজনক ফলাফল, কিন্তু ফলাফলের দিক থেকে আমরা হয়তো আরও বেশি কিছু প্রাপ্য ছিলাম।’
তবে ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন ম্যাচ শেষে আইটিভিকে বলেছেন ভিন্ন কথা। নিজেদের আক্রমণাত্মক স্বভাব হারিয়ে ফেলেছেন জানিয়ে কেইন বলেন, ‘যথেষ্ট ভালো ছিল না। আমাদের কিছু মুহূর্ত ছিল, কিন্তু বলের সাথে এবং বলের বাইরে সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল না, আমরা সঠিক গতি খুঁজে পাইনি। আমরা আমাদের সেই আক্রমণাত্মক স্বভাব হারিয়ে ফেলেছি।’