ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন এরিক আগিরে। মেক্সিকোর ২৮ বছর বয়সী রাইট উইংব্যাকের ক্রসে লাফিয়ে সের্হিও রামোসের হেড কাছের পোস্ট আর বারের কর্নার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। হতাশায় শুয়ে পড়েন স্প্যানিশ তারকা সেন্টারব্যাক। একটু পর উঠে বসলেও রামোসের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
সাবেক রেয়াল মাদ্রিদ অধিনায়কের এ হতাশা যে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার, সেটা বোধহয় আলাদা করে না বললেও চলে! রামোসের ওই হেডটা জালে জড়ালে ম্যাচে ফিরত মন্তেরেই। কিন্তু সেটা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল মেক্সিকান ক্লাবটি।
ডর্টমুন্ডের হয়ে জোড়া গোল করেছেন সেহু গিরাসি। স্বস্তির জয়ে শেষ আটে ওঠা জার্মান ক্লাবটি সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে রেয়াল মাদ্রিদকে। গতকাল রাতে ইউভেন্তুসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
মাদ্রিদ-ডর্টমুন্ড শেষ আটের লড়াই, আগামী মঙ্গলবারের ম্যাচটি হতে পারত বেলিংহাম ভাতৃদ্বয়ের মুখোমুখি লড়াই। কিন্তু ডর্টমুন্ডে খেলা ছোটভাই জোবে বেলিংহাম আজ হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। ফলে জুড বেলিংহামের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যাবে না জোবেকে।
আটলান্টার মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে ডটমুনড্ গোল দুটি পেয়েছে ২৪ মিনিটের মধ্য। আর দুটি গোলই এসেছে করিম আদেয়েমি-গিরাসির জুটিতে।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে বাড়ানো রেমি বেনসেবাইনি থেকে বল পেয়ে আদেয়েমির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ান গুরাসি। এর ১০ মিনিট পর ডানপ্রান্ত থেকে আদেয়েমির বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ২৯ বছর বয়সী গিনির স্ট্রাইকার।
২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায় মন্তেরেই। কিন্তু প্রথমার্ধে ব্যবধান কমাতে পারেনি মেক্সিকান ক্লাবটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পেয়ে যায় দোমেনেক তোরেন্তের দল।
ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে দূরের পোস্টে ক্রস করেছিলেন হেসুস করোনা। সেটি ডর্টমুন্ডের সুইডিশ রাইট উইংব্যাক দানিয়েল সেভেনসনের মাথায় লাগার পর পেছনে থাকা মন্তেরেই রাইটব্যাক আগুইরে হেড করেন বিপরীত প্রান্তের পোস্টের দিকে। সেখানে থাকা হেরমান বের্তেরামি আবার হেড দূরের পোস্ট দিয়ে আশ্রয় নেয় ডর্টমুন্ডের জালে। সেটি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ডর্টমুন্ডের সুইস গোলকিপার গ্রেগর কোবেলের।
ব্যবধান কমিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় মন্তেরেই। কিন্তু ডর্টমুন্ডের রক্ষণদুর্গ আর ভাঙতে পারেননি রামোসরা। এতে নিশ্চিত হয়, কনক্যাকাফ অঞ্চল থেকে অংশ নেওয়া পাঁচ দলের শেষটিরও বিদায় ঘটছে টুর্নামেন্ট থেকে। আর পঞ্চম ইউরোপিয়ান দল হিসেবে কোয়ার্টারে ওঠে ডর্টমুন্ড।