নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রেয়াল মাদ্রিদ। শুধু যোগ করা সময়ের খেলা বাকি। স্প্যানিশ জায়ান্টদের জয় মনে হয়েছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তখনও যে নাটকীয়তার অনেকটা বাকি।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে একটি গোল শোধ (২-১) দিয়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ায় ডর্টমুন্ড। দু মিনিট পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত এক বাইসাকেল কিকে মাদ্রিদ ফের দুই গোলের লিড (৩-১) পায়। পরের মিনিটে বক্সের ভেতর সেহু গিরাসিকে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন হুইসেন। সেই পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৩-২ করেন গিরাসি।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তখন কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা। দারুণ এক আক্রমণে প্রায় ম্যাচে ফিরেছিল জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে মার্সেল সাবিৎসারের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। তাতে ৩-২ ব্যবধানের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদ। এমবাপ্পের বাইসাইকেল কিকে গোলটাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, এটা বোধহয় না বললেও চলে। তাতে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টিকিট নিশ্চিত হয়েছে শাবি আলোনসোর শিষ্যদে।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার রাতে ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ জার্মেইয়ের (পিএসজি) মুখোমুখি হবে মাদ্রিদ। দিনের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে গতকাল বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে লুইস এনরিকের দল।
গতকাল নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আক্রমণ কিংবা বলের দখল- মাদ্রিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে ডর্টমুন্ড। কিন্তু গোলের খেলায় স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে জার্মান ক্লাবটি। ম্যাচের ১০ম মিনিটে আর্দা গুলাশের পাসে দারুণ এক ভলিতে ডর্টমুন্ডের জালে বল জড়ান গনসালো গার্সিয়া।
১০ মিনিট পরে আরেক গার্সিয়া ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবার ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের পাসে বক্সের ভেতর থেকে স্কোরলাইন ২-০ করেন ফ্রান্সিকো গার্সিয়া।
এরপর দুদলই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ চালিয়ে গেলেও আর কোনো গোল হচ্ছিল না। তখন মনে হয়েছিল, ২-০ ব্যবধানেই জিততে চলেছে আলোনসোর শিষ্যরা। কিন্তু যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভুল করে বসেন আন্তোনিও রুডিগার। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দেন বক্সের ঠিক মাথায় থাকা ম্যাক্সিমিলিয়ান বেইয়ের পায়ে। সেখান থেকে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন ডর্টমুন্ডের জার্মান রাইট উইঙ্গার।
ঠিক দু মিনিট বাদেই গুলাসের মাপা ক্রসে দারুণ এক ওভারহেড গোলে ফের ব্যবধান বাড়ান (৩-১) এমবাপ্পে। এরপর হুইসেনের লালকার্ড আর পেনাল্টিতে ডর্টমুন্ডের গোল। রুদ্ধশ্বাস শেষ কয়েক মিনিটের লড়াইয়ে জিতে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠে যায় আলোনসোর দল।