দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে বরিশালের হিজলা এবং মুলাদীতে এবারে ৬০ শতাংশ ভোট কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক উপজেলায় এবার দুই পরিবার থেকে চার জন প্রার্থী হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে বরিশালের হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচন প্রসঙ্গে এলাকার ভোটাররা বলছেন, গেল ৮ মে বরিশালে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচনের মতোই তারা নির্বাচন চান। প্রার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যবারের তুলনায় এবারে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। আগের মতো ত্রাস নেই, নিরিবিলি পরিবেশে সবাই সুন্দর নির্বাচনের আশা নিয়ে আছে। তবে শুরুর দিকে মোটরসাইকেলের মহড়া ছিল, এখন একেবারেই শান্ত।
হিজলা উপজেলায় দুই বাড়ি থেকে প্রার্থী হয়েছেন চার জন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তাঁরই ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদার।
এদিকে আপন চাচা দেলোয়ার হোসেন ফারুক ঢালীর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই ভাতিজা নুরুল ইসলাম রাজু ঢালী।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম রাজু ঢালী বলেন, ‘বাবার পথ ধরে নির্বাচনে এসেছি। আমার বিপরীতে আমার চাচাও প্রার্থী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত চাচা ভাতিজা এক মঞ্চে আসব।’
সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার ও আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদারের ছোট ভাই মেহেদি হাসান শামিম সিকদার বলেন, ‘আমার দুই ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে করে আমাদের পরিবার থেকে শেষ পর্যন্ত একজন প্রার্থী জয়ী হয়।’
নদীঘেরা হিজলা উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে প্রার্থী রয়েছেন ১২ জন। একইভাবে মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে প্রার্থী রয়েছেন সাত জন। এই ২১ প্রার্থীর জন্য আছেন দুই উপজেলায় ৩ লাখ ৫ হাজার ১৬৯ জন ভোটার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে সবখানেই এবার শান্ত ভোট হবে এবং ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে।
বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য পণ্ডিত সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভাই ভাই, চাচা-ভাতিজা নির্বাচন করছেন বলেই এখন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। বরিশালের সুষ্ঠু নির্বাচনের ছোঁয়া এখানেও লেগেছে। এ জন্যই এখানে ভোট কাস্ট হবে বেশি। এবার দুটো উপজেলার দায়িত্বে থাকবে বরিশাল জেলা পুলিশ। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।’
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, হিজলার ৪৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং মুলাদী উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট ৬০ শতাংশ কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে নির্ধারিত আছে ১৪শ পুলিশ। এ ছাড়া থাকবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), নৌ পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি অন্তত ৪০টি মোবাইল টিম।