ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর কালশীতে একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোচালকেরা। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ বলছে, অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও বিছিন্ন যানবাহন ভাংচুরের পর বিকেল ৪টার দিকে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে। সকাল থেকে বন্ধ থাকলেও বিকেলের পর সড়কটিতে আবারও যান চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর অঞ্চলের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য কী করা যায় এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আবার বসা হবে। এটি জানানোর পর তারা রাস্তা ছেড়ে দিতে রাজি হলো। আমরাও তাদেরকে বুঝালাম, কিন্তু এর মধ্যে কিছু উস্কানি দাতা যারা দুষ্ট প্রকৃতির তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করল। গাড়ির ওপর আক্রমণ করল। এরপর রাস্তা পরিস্কার করার জন্য আমরা তাদের সরিয়ে দিলাম।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন চালকেরা। পরে মিরপুর ১১, মিরপুর ১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শত শত চালক বিক্ষোভে যোগ দেন।
একজন বিক্ষুব্ধ চালক বলেন, ‘আমাদের কথা হলো, যদি ঝুঁকিপূর্ন হয় সেই গাড়িগুলো বাদ দিয়ে ভালো ব্রেকিং সিস্টেমের গাড়ি ছাড়া হোক। আমাদেরকে সেই গাড়ি যেভাবেই দেওয়া হোক, কিস্তি বা লাইসেন্সের মাধ্যমে দেওয়া হলেও আমরা নেবো।’
চালকদের বিক্ষোভে কয়েকটি বাস-মিনিবাস ভাংচুর ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চালকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবস্থানে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এর আগে, গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়ানো বিপজ্জনক ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) জানায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রংচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।