পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিলে যোগ দেন হাজারো মানুষ। রোববার সকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডির ঝিগাতলায় শেষ হয়। কারবালার স্মরণে মখমলের চাঁদোয়ার নিচে বহন করে নেওয়া হয় ইমাম হোসেনের প্রতীকী কবর। আশুরার আয়োজন ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পরনে কালো কাপড়, মাথায় বাঁধা কালো পতাকা। শিশু থেকে বৃদ্ধ-সব বয়সী নারী-পুরুষের কণ্ঠে শোকের মাতম।
রোববার সকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে শুরু হয় তাজিয়া মিছিল। ধানমন্ডির ঝিগাতলা পর্যন্ত শোক আর প্রতিবাদে শামিল হন অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
তারা বলেন, কারবালার প্রান্তরে মহান আত্মত্যাগ অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে, ন্যায়ের পথে চলার সাহস ও শক্তির উৎস। সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্যের আহ্বান তাদের।
আশুরার মিছিলের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ছিল সতর্ক উপস্থিতি। এছাড়া ছুরি, কাঁচি, বল্লম, লাঠি বহনে ছিলো নিষেধাজ্ঞা।
তাজিয়া মিছিল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এম.এম. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ঘোরার পাট আছে, এটা আমাদের সহী মোবারক, এটা নিয়ে আমরা যাচ্ছি মানুষকে বুঝানোর জন্য যে আজকে ১০ মহরম। আজকের দিনে উনি (হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে ইসলামকে জীবত করেছেন। যার ফলে আজকের মিছিলটা আমাদের।’
নফল রোজার পাশাপাশি বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে আশুরার দিনটি পার করেন মুসলিমরা।
হিজরি ৬১ সালে মহরমের দশ তারিখ, কারবালার ময়দানে শহিদ হন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)।