বাজার চাহিদার তুলনায় হিমাগার থেকে সরবরাহ কম থাকায় বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে আলু। বিক্রেতারা বলছেন, বৈরি আবহাওয়া ও ভারত থেকে আলু আমদানী কম হওয়ায় বাজারে দামে প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মধ্যসত্বভোগীদের অধিক মুনাফার প্রবণতায় বেড়েছে আলুর দাম।
বগুড়ায় গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, হিমাগার থেকে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বগুড়ার একজন আলু বিক্রেতা বলেন, ‘আলু বিক্রি হচ্ছে, হল্যান্ড আলু ৫০ টাকা কেজিতে। গত দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা করে। এভাবেই প্রতিকেজিতে ৫–১০ টাকা বেশি।’
মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর ও দিনাজপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এর পেছনে বৈরি আবহাওয়া ও ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন আড়ৎদাররা।
একজন আড়ৎদার বলেন, ‘যখন বুনেছি তখন আলুর সিজন শেষ। আমরা স্টোরে আলু যা রেখেছিলাম তাও শেষ। এখন আমরা বীজ পাব কোথায়? একটা গাড়ি নিতে গেলে আগে লাগত ১০টাকা, এখন লাগে ২০ টাকা। এখানেও তো দাম বেড়ে গেল। এজন্যই দাম এখন বেশি।’
নওগাঁ ও জয়পুরহাটেও বেড়েছে আলুর দাম। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, হিমাগার থেকে আলু কম সরবরাহ করায় বেড়েছে দাম। আর ক্রেতারা দুষছেন মধ্যসত্ত্বভোগীদের।
জয়পুরহাটের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘পাইকারি কেনা ১ হাজার ৯০০ টাকা মন। কেনা ৪৭ টাকা, বিক্রি ৫০ টাকা। গুটি আলু কেনা ৫৫ টাকা, বিক্রি ৬০।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, অবৈধভাবে দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই। সংস্থাটির বগুড়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজ থেকে যে আলুগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে, সেই বিক্রেতাদের আমি বলব, অবশ্যই আপনারা পাকা ভাউচার অথবা পাকা রশিদ সংরক্ষণ করবেন। যারা ক্রেতা আছেন, তারা অবশ্যই আপনাদের ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।