বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ প্রায় ১০ মাস। সমস্যার সুরাহা হয়নি, কারণ এখনও চলছে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। অভিবাসন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মালয়েশিয়া থেকে যে রেমিট্যান্স আসে তার চেয়ে বেশি টাকা পাচার করে সিন্ডিকেট। এ পরিস্থিতিতে শ্রম চুক্তির কয়েকটি ধারা সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের পর বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে দেশটিতে। ২০২৪ সালের জুন থেকে বন্ধ রয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। এর আগেও চার বছর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়নি দেশটি। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওযা হয়। সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধে শ্রমচুক্তি সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রম অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি হল বলেন, দু দেশের মধ্যকার শ্রমচুক্তি সংশোধন করতে হবে। যাতে কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি পায়। তাদের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে অনেক শ্রমিকের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শরিফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ প্রায় ১০ মাস। কারণ এখনও চলছে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। এই সিন্ডিকেটের কারণে রেমিট্যান্স আসার থেকে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয় বেশি। তাই মালয়েশিয়ায় আটকে না থেকে নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে।
২০২৩ সালে মালয়েশিয়া গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। ২০২৪ সালে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।