নতুন করে শ্রমবাজার খোলার সম্ভাবনা ও প্রতিনিধি দলের মালয়েশিয়া যাওয়ার খবরে আশাবাদী এ খাত সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের দাবি, সরকার যেন কর্মী স্বার্থ রক্ষা করেই নতুন চুক্তি করে। অভিবাসন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজারের দাবি রিক্রুটিং এজেন্সির। তাঁরা বলছেন, দর কষাকষিতে শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে বাংলাদেশকে। এদিকে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সংখ্যা নয়, মানের দিকে জোর দেওয়ায় গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আবারও খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী ১৪ মে মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছে একটি প্রতিনিধি দল। ২১ মে হবে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে যেসব সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার বেশিরভাগই দুদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। মধ্যস্বত্বভোগীদের দুর্নীতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো কর্মী। ২০২১ সালের চুক্তিতে রিুক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষমতা যায় মালয়েশিয়ার হাতে। নির্বাচিত ১০১ এজেন্সির সিন্ডিকেট অভিবাসন ব্যয়কে নিয়ে যায় সাড়ে পাঁচ লাখে। আর মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ না পেয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েন অনেক কর্মী।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত হলে কমবে অভিবাসন ব্যয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএমইটি একটি ডেটা ব্যাংক তৈরি করবে, সেখান থেকে এজেন্সি লোক বাছাই করবে। টাকা যাবে ব্যাংকে। পুরো খরচ দেড় লাখের থেকে দুই লাখের মধ্যে হতে পারে। সেই আওয়ামী লীগের ব্যক্তিরাই আবারও সিন্ডিকেটের চেষ্টা করছে। তারাই নামে বেনামে অপচেষ্টা করছে। সিন্ডিকেট হলে সরকারের প্রতি আস্থা কমে যাবে।’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি না করার পরামর্শ দিয়েছন বিশেষজ্ঞরা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা করতে হবে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ রাশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেক কর্মী কিন্তু এখনও সেখানে কর্মহীন আছে। সংখ্যা থেকে কোয়ালিটি অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সমস্যার সমাধান না করে নতুন দায়িত্ব নেওয়া। এরা যখন ডিপোর্ট হয়ে ফেরত আসবে, তখন সরকারের জন্যই চাপ হবে। সরকার যদি কোনো চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি তার মোরাল গ্রাউন্ডকে নষ্ট করবে।’