চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস গত বছরের চেয়ে এবার ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড গড়েছে। যদিও এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম। বিশ্ববাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের ভেতর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শুল্কায়ন প্রক্রিয়াকে আরও সহজীকরণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বড় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় করেছে ৭৫ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থবছররাজস্ব আদায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৪৬২ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ হাজার কোটি ও ২০২০-২১ ৫১ হাজার কোটি টাকা।
কাস্টমসের হিসাবে, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি রোধ, পুরোনো পণ্যের নিলাম প্রক্রিয়াকে বেগবান করা, আটক পণ্যে দ্বিগুণ শুল্ক আদায় বেড়েছে। তবে অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ফেনী-কুমিল্লার বন্যা ও ডলার সংকটের মধ্যেও চলমান ছিল অর্থনীতির চাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেললাইনে বন্যার কারণে যোগাযোগ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এই কারণে এখানে আমাদের কিছুটি জট ছিল। ডলার ইস্যু তো আছেই। আরেকটা হচ্ছে গিয়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে ব্যাংক কিছুদিন বন্ধ ছিল। এমন হলে আমদানির পরিমাণ তো কমে আসবেই।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজস্ব আদায়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত টেবিলে ঘুরে শুল্কায়ন করতে হয় তাদের। এছাড়া সার্ভার ত্রুটি কিংবা ধীরগতির ঘটনাও ঘটে হরহামেশা। এরমাঝেও রাজস্ব বৃদ্ধিকে ইতিবাচক বলছেন তারা।
বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, ‘এই অর্জনের জন্য তাদের অভিনন্দন। তবে আমি মনে করি, এই অর্জন ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আরও মিট-আপ করা উচিত।’
সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যারা, কাস্টমসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, আমরাও কাজ করছি। সুতরাং কাস্টমসের বড় সাফল্য আমরা দেখতে পাচ্ছি। আগামীতে আমরা আরও বড় সাফল্য দেখতে পাব ইনশাল্লাহ।’
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের শেষে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি না হলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়তো বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।