যারা প্রতিদিন কাজের চাপে বাজার কিংবা রান্নার সময় পান না, তাদের জীবন অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে যে যন্ত্র তা হলো ফ্রিজ। কিন্তু অনেকের বাড়িতে ফ্রিজ খুললেই দুর্গন্ধের চোটে নাকে চাপা দিতে হয়। কাঁচা মাছ-মাংস, অনেকদিনের জমে থাকা বরফ, অবাঞ্ছিত আবর্জনা থেকে ফ্রিজে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, আর সেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য খাবারেও।
শীতের সময়টায় সহজে ফ্রিজ পরিষ্কারও করা হয় না। ফলে কটু গন্ধ আরও বাড়ে। অথচ ঘরোয়া টোটকাতেই ফ্রিজের গন্ধ তাড়ানো সম্ভব। রইল টিপস।
বেকিং সোডা
প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই বেকিং সোডা থাকে। দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডার জুড়ি মেলা ভার। একটি বাটিতে বেকিং সোডা ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। বেকিং সোডা ফ্রিজের দুর্গন্ধ শুষে নেবে।
ভ্যানিলা এসেন্স
কেক, পেস্ট্রি বানানোর জন্য অনেকের বাড়িতেই ভ্যানিলা এসেন্স থাকে। একটি তুলার বল ভ্যানিলা এসেন্সে ডুবিয়ে ১২ ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে। মিষ্টি একটা গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে ফ্রিজ জুড়ে।
ভিনেগার
এই উপাদান ঘরের যেকোনো দুর্গন্ধ শোষণ করে নেয়। একটা বাটিতে অল্প ভিনেগার নিয়ে ফ্রিজের ওপরের তাকে রেখে দিন। পরের দিন সকালে ফ্রিজের দরজা খুললে দেখবেন গন্ধ উধাও। চাইলে এক কাপ পানিতে খানিকটা ভিনেগার আর কয়েকটা লেবুর টুকরা মিশিয়ে পাত্রটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে পারেন। এতেও দারুণ কাজ হবে।
লেবু ও কমলা
সিট্রাস জাতীয় ফল যেকোনো কটু গন্ধ দূর করে ঘরে মিষ্টি একটা সুবাস এনে দেয়। লেবু টুকরা করে ফ্রিজের বিভিন্ন তাকে রেখে দিন। একটি পাত্রে কমলার খোসা ও লবণ একসঙ্গে নিয়েও ফ্রিজে রাখতে পারেন। দুর্গন্ধ দূর তো হবেই, পাশাপাশি ফ্রিজ খুললেই চমৎকার সুগন্ধ ভালো করে দেবে মন।
কফি
কফি খেলে যেমন আপনি নিজে সতেজ হয়ে ওঠেন তেমনি ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে কফি অনবদ্য। একটি বাটিতে কফির গুঁড়া নিয়ে সেটি ফ্রিজে রেখে দিন। দেখবেন নিমেষে দূর হবে ফ্রিজের দুর্গন্ধ।
এর পাশাপাশি নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করা সবচেয়ে জরুরি। নিয়মিত যত্ন না করলে ফ্রিজে গন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শাকসবজি বা মাছ-মাংস সপ্তাহখানেকের বেশি ফ্রিজের ভেতর না রাখাই ভাল। এতে খাবারের গুণমান যেমন বজায় থাকে, তেমনই কমে দুর্গন্ধ সৃষ্টির সমস্যা।
ফ্রিজের সঠিক তাপমাত্রাও বজায় রাখতে হবে। সাধারণত চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা ফ্রিজের জন্য আদর্শ। অন্যথায় ফ্রিজের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু জন্মায়, যা কটু গন্ধ তৈরি করতে পারে।