বিড়াল খুব স্বাধীন প্রাণী, কিন্তু তাদের যত্ন ঠিকভাবে না নিলে সমস্যা হতে পারে। অনেক মালিক কিছু ভুল করেন, যা বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখানে কয়েকটি সাধারণ ভুল ও সেগুলো এড়ানোর উপায় দেওয়া হলো।
পর্যাপ্ত পানি না দেওয়া
অনেক বিড়াল কম পানি পান করে, যা কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে। শুধু বাটিতে পানি দেওয়ার বদলে ক্যাট ওয়াটার ফাউন্টেন ব্যবহার করুন। এছাড়া তাদের খাবারের তালিকায় ভেজা খাবার যোগ করলে শরীরে পানির অভাব হবে না।
ভুল খাবার খাওয়ানো
বিড়ালের জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার দরকার। মানুষের খাবার, কম মানের বিড়ালের খাবার বা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট দেওয়া ঠিক নয়। চকলেট, পেঁয়াজ বা দুধ বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। তাই এসব এড়িয়ে চলুন।
দাঁতের যত্ন না নেওয়া
অনেকেই বিড়ালের দাঁতের যত্ন নেন না, যা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। বিড়ালের দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করুন বা ডেন্টাল ট্রিট দিন। নিয়মিত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে দাঁতের চেক-আপ করান।
লিটার বক্স পরিষ্কার না করা
ময়লা লিটার বক্স বিড়ালকে বিরক্ত করে। তারা এটি ব্যবহার করতে চায় না। লিটার বক্স প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। নির্দিষ্ট সময় পর লিটার বদলান। লিটার বক্স নিরিবিলি জায়গায় রাখুন, যাতে বিড়াল স্বস্তি পায়।
পর্যাপ্ত খেলাধুলা না করানো
বিড়ালের শরীর ও মন ভালো রাখতে খেলাধুলা দরকার। খেলনা দিয়ে বিড়ালকে ব্যস্ত রাখুন, না হলে তারা মোটা বা বিরক্ত হয়ে যেতে পারে।
বিষাক্ত গাছ রাখা
কিছু গাছ, যেমন লিলি, অ্যালোভেরা ও পয়েন্সেটিয়া বিড়ালের জন্য বিষাক্ত। বাসায় গাছ আনার আগে নিশ্চিত করুন যে এটি বিড়ালের জন্য নিরাপদ কিনা।
পশু চিকিৎসকের কাছে না নেওয়া
বিড়াল অসুস্থতা লুকিয়ে রাখে, তাই নিয়মিত চেক-আপ দরকার। শুধুমাত্র অসুস্থ হলে নয়, বছরে অন্তত একবার ডাক্তার দেখানো উচিত। টিকা ও পরজীবী প্রতিরোধের বিষয়টি অবহেলা করা যাবে না।
বেশি আদর করা বা জোর করা
বিড়াল সবসময় আদর পছন্দ করে না। তাদের জোর করে কোলে নেওয়া বা আদর করতে গেলে তারা বিরক্ত হতে পারে। বিড়ালকে তার ইচ্ছামতো থাকতে দিন, এতে সে আপনার প্রতি বেশি বিশ্বাস করবে।
সঠিক যত্ন নিলে আপনার বিড়াল সুখী ও সুস্থ থাকবে। পর্যাপ্ত পানি, ভালো খাবার, নিয়মিত চিকিৎসা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করলে বিড়াল দীর্ঘ জীবন পাবে।