আলোয় আলোয় মুক্তির প্রত্যাশা জানিয়ে রাজধানীর রমনা বটমূলে চিরায়িত আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হলো বাংলা নতুন বছরকে। উৎসবপ্রিয় বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ১৪৩২ সাল বরণ পেলো ভিন্ন রঙ।
আজ সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবীতে রাগালাপের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন। এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের অনুষ্ঠান।
পরিবেশন করা হয় সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত। প্রায় দেড়শো কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীর সুরে-বাণীতে নতুন বছর বরণ করছে ছায়ানট।
পরিবেশিত হচ্ছে আলো, প্রকৃতি, মানুষ আর দেশপ্রেমের গান। এবার মোট ২৪টি পরিবেশনার মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক গান আর ৩টি পাঠ থাকছে।
এবারের আয়োজনে পুরুষ শিল্পীদের পোশাক মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। এই মেরুন রঙের সঙ্গেই মানানসই রং করা হয়েছে মঞ্চের। প্রতিবছর মঞ্চের আকৃতি একই রকম থাকে, শুধু শিল্পীদের পোশাকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে মঞ্চে রঙের পরিবর্তন করা হয়। গতবারের রং ছিল হালকা সবুজ।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করে ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায়ই নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।