মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রচার। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের টানতে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন প্রার্থীরা। একে অন্যের বিরুদ্ধে করছেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগও। পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের দাবি ভোটারদের। এদিকে প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং, সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়াসহ নানা উপায়ে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। চতুর্থ ধাপে এবার নওগাঁর সদর, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলা ভোট হবে। এই তিন উপজেলায় লড়াই করছেন মোট ৪০ জন প্রার্থী।
মহাদেবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী। এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করব।’
নওগাঁ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম কাজ হবে রাস্তার উন্নয়ন। জনগণ যেন কাঁচা রাস্তা পার হয়ে মেইন রোডে না ওঠে। সে ব্যাপারে আমার সজাগ দৃষ্টি থাকবে।’
বরিশালের উজিরপুর, বানারীপাড়া ও বাবুগঞ্জ উপজেলায়ও জমজমাট নির্বাচনী প্রচার। এর মধ্যে উজিরপুর উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান ক্ষমতা ফিরে পেতে প্রার্থী হয়েছেন। ভোটারদের চাওয়াতেই প্রার্থী হয়েছেন দাবি তিন জনেরই।
উজিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ সিকদার বলেন, জনগণের চাওয়া পূরণ করতেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
উজিরপুর উপজেলার আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এলাকায় নিয়ম-শৃঙ্খলা পুনর্বহাল রাখতেই আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এদিকে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের দাবি ভোটারদের।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, তিন উপজেলার ১৯০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪০ ভাগ গুরুত্বপূর্ণ।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপে স্থগিত হওয়া চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলা পরিষদেও ভোট হবে চতুর্থ ধাপে।