আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠছে চরমপন্থী সংগঠনগুলো। ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ, বালুঘাট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে উপস্থিতি জানান দিচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসীরা। ফলে নতুন করে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। তবে চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে নিষিদ্ধ সংগঠন জাসদ গণবাহিনী। দাবি করা হয়, খুন, গুম ও ধর্ষণে জড়িত থাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হানিফসহ তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। হানিফের সহযোগীদেরও হুমকি দেওয়া হয়।
তিন খুনে কুষ্টিয়ার জাসদ গণবাহিনীর দায় স্বীকারের ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদারি কাজসহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে অপরাধ সংগঠিত করছে সংগঠনগুলো।
চুয়াডাঙ্গা বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন উমর জানান, তিনজনকে হত্যার পর চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলার বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত।
যদিও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জাসদ গণবাহিনীর হুমকিতে আতঙ্কিত নয় মাগুরাবাসী। তবে, বারবার হত্যাকাণ্ড ঘটলে জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে। চরমপন্থীদের তৎপরতা বন্ধে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠনের উত্থান রোধে যশোরে নাগরিক সমাজের সাথে জরুরি সভা করেছে প্রশাসন।