পিরোজপুরের নাজিরপুরে সড়ক থেকে প্রাইভেটকার খালে পড়ে নারী শিশুসহ দুই পরিবারের নিহত আটজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেন। এসময় সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহের সুরতহাল করেই ময়নাতদন্ত না করেই হস্তান্তরের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে পুলিশ। আইনি সকল কার্যক্রম শেষ করে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাওনের পরিবারের কাছে ৪ জনের মরদেহ এবং শেরপুরের মোতালেবের পরিবারের কাছে ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পরিবারের স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম দেখা যায়।
নিহত শাওন (৩২) নাজিরপুরের হোগাবুনিয়া এলাকার মৃত আসাদ মৃধার ছেলে, আমেনা বেগম (২৫) শাওনের স্ত্রী, শাহাদাত (১০) শাওনের ছেলে ও আব্দুল্লাহ (০৩) শাওনের ছেলে। এছাড়াও শেরপুরের নিহত মো. মোতালেব (৪৫) শেরপুরের দিঘীপাড়া রঘুনাথপুর নিজামুদ্দিনের ছেলে, সাবিনা (৩০) মোতালেবের স্ত্রী, মুক্তা (১২) মোতালেবের মেয়ে ও সোয়াইব (০২) নিহত মোতালেবের ছেলে।
নিহত শাওনের শাশুড়ি জাকিয়া বেগম বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে শাওন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তখন তারা আমতলি ফেরীঘাটে ছিল। এরপরে আর তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। গভীর রাতে কেউ ফোন করে বলে ওরা পানিতে ডুবে মারা গেছে। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
নিহত শাওনের মামা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ অপেক্ষার পরে আমার ভাগ্নের পরিবারের মরদেহগুলো পেয়েছি। বাড়ি নিয়ে গোসল করিয়ে দাফন–কাফন সম্পন্ন করা হবে।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘পানিতে ডুবে মৃত দুই পরিবারের স্বজনদের মধ্যে আটজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে তাদের অনুরোধে বিনা ময়নাতদন্তে আমরা তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি।’