বরগুনার আলোচিত কলেজছাত্র অনিক হত্যা মামলার পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দণ্ডাদেশের ছয় বছর পরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে তালতলী উপজেলা ফকির হাট এলাকা থেকে আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুস সত্তার গাজীর ছেলে। এদিকে আসামির মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায়।
বরগুনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়ক এলাকার বাসিন্দা অনিককে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে নিহতের বাবার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন হত্যাকারীরা। এর ১৮ দিন পর বরগুনা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট প্রধান আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যাকারীকে দীর্ঘদিন পর পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পেরেছে, এতে আমি অত্যন্ত খুশি। তবে তার বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার ওসি জগলুল হায়দার হাসান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন গাজি দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি দেশে এসে আত্মগোপনে ছিলেন। সদর থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে তালতলীর ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।