নোয়াখালীর কবিরহাটে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সংঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল ক্রয় করে নতুন ও পুরাতন অনেক দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেলে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা।
দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ দর ২৩ লাখ টাকায় ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পান নতুন দরদাতা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে আমিন বাজারের পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তাঁর ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সুজনের অনুসারীদের সঙ্গে কামরুল হাসান আকাশের অনুসারীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের কবিরহাট ও জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, ‘আমি কোনো দলীয় পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙে যায় এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।’
ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৭/৮ জন লোক প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে, আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়।’
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, ‘দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখেনি।’