ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমের সমালোচনাকে অন্তর্বর্তী সরকার স্বাগত জানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময়, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে রেখেছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাসেও কেনো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হয়নি-সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা।
রোববার বিয়াম মিলনায়তনে নয়া দিগন্তের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এই সরকারের কোনো পার্লামেন্ট নেই। আমরা চাই, পত্রিকাগুলো আমাদের অংশজন হয়ে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সহস্রাধিক মামলায় সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার হন বহু মানুষ। ২০১৮ সালে করা আইনটি, ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে নামকরণ হয় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এ আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি, বলছে বিএনপি। নয়া দিগন্ত পত্রিকার ২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘এখানে যিনি প্রতিনিধি ছিলেন তিনি বলে গিয়েছেন, যেন আমরা তাদের প্রশ্ন করি। আমি এই প্রশ্ন করছি যে, কেন এই সরকার আসার দুই মাস ২০ দিনেও কেনো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করলেও পত্রিকায় তা লেখা যায়নি- বলেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণের টাকা কীভাবে আত্মসাৎ করা হচ্ছে, হরিলুট হচ্ছে, ব্যাংকগুলো খালি করা হচ্ছে, এটার সাথে সরকার প্রধানের ঘনিষ্টরা যে দায়ী সে কথাটা লেখা যেত না।’
এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, সংবাদমাধ্যম ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবে এমনটাই চায় সরকার। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কাজ চলছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা ।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, আমাদের পরামর্শ দিবেন, সংশোধন করে দিবেন। আমরা আপনাদের পরামর্শ, মতামত নিয়ে আগামী দিনে যারা আসবেন রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের জন্য পথ সুগম করে দিতে চাই।’
স্বৈরতন্ত্রমুক্ত দেশের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম চর্চার বিকল্প নেই- বলেন বক্তারা।