কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুলিশের পিটুনিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম, এসআই মো. কামাল হোসেন, এসআই মস্তোফা মিয়া, এএসআই মো. নাহিদ হাসান এবং কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তাহের হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৩ দিন পর কটিয়াদী মডেল থানার ওসি-এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার।
নিহত সিএনজি ড্রাইভার ইয়াছিন মিয়ার (৪০) বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তিনি কটিয়াদীর ফেকামারা এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন।
অ্যাডভোকেট আবু তাহের আরও জানান, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফেকামারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের চার সদস্যের একটি দল। পুলিশের টিম লিটনের বাড়িতে পৌঁছালে সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ওই বাড়িতে থাকা অটোরিকশা ড্রাইভার ইয়াসিন মিয়া দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর ময়নাতন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার পরপরই নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ তুলে বলেন, পুলিশের বেধড়ক মারধরের কারণেই ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। পরেরদিন অভিযান পরিচালনা করা এসআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।