কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ২২ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে এক কিশোরকে (১৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নে পূর্ব চাতল গ্রাম থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।
অপহৃত শিশু গ্রামের এক প্রবাসীর ছেলে এবং অভিযুক্ত কিশোরের মামাতো ভাই হয়। বুধবার অপহৃত শিশুকে উদ্ধারের পর অপহরণের সঙ্গে জড়িত ওই কিশোরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– অভিযুক্ত কিশোর (১৫), আরেক কিশোর (১৬) ও নুরুদ্দিন (৪০)। পরে সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত কিশোর বাড়ির পেছনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টায় কিশোর ছেলেটি একা বাড়িতে ফিরে আসে। তাঁর কাছে শিশুটি কোথায় জানতে চাইলে সে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে। তখন শিশুটির মা এই কিশোর ও বাড়ির অন্য লোকদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে শিশুকে খুঁজতে থাকেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটির মায়ের মোবাইলে একটি ইমু নম্বর থেকে ভিডিও কল দিয়ে শিশুকে দেখায় এবং ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে না পারলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘রাতেই শিশুর মা বিষয়টি লিখিতভাবে থানায় অবহিত করলে পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদরের নগুয়া এলাকার একটি বাসা থেকে বুধবার ভোরে শিশুকে উদ্ধার করে। তখন অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।’
ওসি জানান, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আজাদকে অপহরণ করে ইমন কিশোরগঞ্জ সদরে তার বন্ধু আব্দুর রহিম নিশাদের (১৬) নানার বাসায় রেখে শিশুটির মার কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলো বলে স্বীকার করে। অভিযুক্ত কিশোর ইমন মাদকাসক্ত বলে জানায় তার স্বজনেরা।"