মঙ্গলবার অভিযানে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে দাবি করে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। দিনভর সমালোচনার পর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ এজাজ লিখেছেন, ‘আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে, তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য তিনটি রিকশা ভাংগা হয়েছিল। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি পুরোনো ২৭ নম্বর রোড থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। এ সময় নির্দেশনা না মেনে মূল সড়কে আসায় শতাধিক রিকশা ভেঙে ফেলা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রিকশাগুলো ভাঙার দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। রিকশা চালকদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না করে কেন এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হলো তা নিয়েও সমালোচনার মুখ পড়তেন হয় ডিএনসিসিকে।
অভিযানের সময় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ এসব রিকশার বদলে অনুমোদিত নকশার বাহন শিগগির সড়কে নামানো হবে। এ মাসেই চালকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। দেওয়া হবে লাইসেন্সও। পাশাপাশি, ব্যাটারি রিকশার ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্টও বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনার কথাও জানান তিনি।
গত বছরের আগস্ট থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কে এসব রিকশার অবাধ চলাচল। বেপরোয়া গতি, উল্টো যাত্রাসহ নানা কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, নির্ধারিত ভাড়ায় নির্দিষ্ট এলাকায় চলতে পারবে অনুমোদিত নকশার রিকশা।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকার ২০ পারসেন্ট এক্সিডেন্টের বড় কারণ হচ্ছে এই ব্যাটারি চালিত রিকশা। এই রিকশাগুলো ওয়েল্ডিং মেশিনে বানানো হয়। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে বৈধ রিকশাগুলো তৈরি করা হবে সেগুলোর আমরা লাইসেন্সিং করব। লাইসেন্স ছাড়া কোনো রিকশা ঢাকায় নামানো হবে না। লাইসেন্স পাওয়ার পরেও কোনো রিকশা মূল সড়কে আসতে পারবে না।’
অবৈধ ব্যাটারি রিকশার চার্জিং পয়েন্ট আর উৎপাদনের ওয়ার্কশপও বন্ধ করার কথাও জানান তিনি।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘যেখানে এই রিকশাগুলো তৈরি করা হয় এবং চার্জিং পয়েন্টগুলো যেখানে আছে তার ওপর আমাদের অভিযান শুরু হবে। এগুলোকে আমরা বন্ধ করে দেবো। সরকারের পক্ষ থেকে বৈধ রিকশা যেটা মানুষকে সুরক্ষা দেয়, নিরাপদ যানবাহন আমরা তৈরি করছি। সরকার প্রাইভেট সেক্টরকে বলে দিয়েছে, ডিজাইনও দেওয়া হয়েছে। তারা এগুলো তৈরি করবে।’
এর আগে গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাটারি রিকশা বন্ধের ঘোষণা দিলেও তদারকির অভাবে তা কার্যকর করতে পারেনি ডিএনসিসি।