মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী শিশু আছিয়ার মা আয়েশা খাতুন, প্রতিবেশী জলি খাতুন ও অসুস্থ আছিয়াকে বহনকারী ভ্যানচালক রুবেল হোসেন। এছাড়া এ দিন লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এ সময় আদালতে মামলার সকল আসামিকে হাজির করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল।
এদিকে, মামলার শুরু থেকে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও রোববার লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ মামলার পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সোমবার ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলায় ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত আছিয়া হত্যা মামলার আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এই আইনজীবী আরও বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে। তাদের আইনজীবী আজকের সাক্ষীদেরকে জেরা করেছেন। বিচারক স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শোনেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪, ৫ নম্বর স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
এদিকে এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের নিরাপত্তা স্বার্থে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের একটি গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী শিশু আছিয়া। ৫ মার্চ রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।