দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমসহ ‘তুফান’ ছবির নিজস্ব প্রচারে একসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে দুই দেশের তিন প্রতিষ্ঠানের নাম। এগুলো হলো ভারতের এসভিএফ, বাংলাদেশের চরকি ও আলফা আই স্টুডিওস।
ছবিটির পাঠানো প্রথম দিককার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়মিত লেখা হয়েছিল এমন—‘‘তুফান সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’।’’
অন্যদিকে, বারবার যৌথ প্রযোজনার বিষয়টি গণমাধ্যমে এলেও ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্রে দেখা গেল এর প্রযোজক আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়ার নাম। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এবার এটির ব্যাখ্যা দিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া জানান, তুফান ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড। সে কারণে সেন্সর ছাড়পত্রে তার নাম লেখা। কারণ, এটা একটা বাংলাদেশি সিনেমা। এছাড়া চরকি হলো ডিজিটাল পার্টনার ও এসভিএফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিটর।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাকারী একাধিকজনের মতে, ঈদ উৎসবে যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তির বিধিনিষেধ এড়াতেই শেষ অবধি তুফানকে দেশি ছবি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অ্যাকশন ধাঁচের এই সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ঢাকার মাসুমা রহমান নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত টিজার ও গান ‘লাগে উড়াধুরা’ ব্যাপক প্রশংসিত হয় দুই বাংলায়।
তুফান-এ নব্বই দশকের একজন গ্যাংস্টারের ভূমিকায় দেখা যাবে শাকিব খানকে। এতে আরও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মিশা সওদাগরসহ অনেকে। ভিলেন চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। যদিও তাঁর বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেননি পরিচালক কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।