আওয়ামীপন্থী শিল্পী-সাংবাদিকদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এখন বেশ সমালোচিত। কারণ এখান থেকে এমন কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা ছিল অশিল্পীসুলভ, নিষ্ঠুর। এই গ্রুপে ছিলেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকও। বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।
ফেসবুকে সাইমন সাদিক লিখেছেন, ‘মন্তব্য করার আগে পড়বেন প্লিজ! এটা মনে হয় জানেন, যেকোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপনি যতজনকে খুশি এড করতে পারেন। বিষয় হচ্ছে আপনি সে গ্রুপে কী লিখেছেন বা আপনি অ্যাকটিভ ছিলেন কি-না? আপনারা মনে হয় দেখেছেন, আমাকে ওনারা এড রেখেছিলেন, কিন্তু আমার কোনো রিঅ্যাকশন ছিল না। আমার ভুল হয়েছে, ওনারা আমাকে এড করার পর আমি কেন লিভ নিলাম না।’
স্ক্রিনশট ফাঁসকারীকে নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সাইমন বলেন, ‘একই পেশার বড়রা যখন আপনাকে একটা গ্রুপে অ্যাড করত আপনি কী করতেন? (যিনি আলো আসবেই গ্রুপে থেকে স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস করেছেন, তিনি কেন তখন লিভ নেন নাই?) নিশ্চয়ই তখন সুবিধা নেওয়ার ধান্দায় ছিল!’
সাইমন আরও লিখেছেন, ‘আমাকে বারবার ফোন করা হচ্ছিল আমি যেন বিটিভিতে গিয়ে আন্দোলনে দাঁড়াই, আমি বারবার না করার পর বলল যে ঠিক আছে, তুমি আসতে পারবে না সেটা অন্তত গ্রুপে লিখে দাও! এটা যদি অনেক বড় অপরাধ হয় আমি অপরাধী।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই আলোচনায় আসে ‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপে শোবিজ অঙ্গনের আওয়ামীপন্থী কিছু অভিনয়শিল্পী ও সাংবাদিকদের গ্রুপের কিছু কথোপকথন।
যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, অভিনেতা রিয়াজ, সাজু খাদেম এবং অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, শমী কায়সার, আজিজুল হাকিম, রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি, হৃদি হক, জ্যোতিকা জ্যোতি, সোহানা সাবা, সাইমন সাদিক, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।
সেই গ্রুপে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মারতে চেয়েছেন আরেক সংগীতশিল্পীকেও!