নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ৯ মাসের দীর্ঘ সফর শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন। তাদের মহাকাশ মিশন ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ সময় বাড়ানোর ফলে তাদের খাবারের সরবরাহ নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়েছিল। তবে এই সময়ে মহাকাশচারীরা কী খেয়েছিলেন? মহাকাশে কি আদৌ চাষ করা সম্ভব? তা নিয়ে চলছে এখন আলোচনা।
মহাকাশে খাবার খাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। সুনিতা উইলিয়ামসের জন্য মহাকাশে খাবারের তালিকা ছিল শেলফ-স্টেবল। অর্থাৎ এমন খাবার যা দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। সুনিতা পিজ্জা, ভুনা মুরগি এবং চিংড়ি ককটেলসহ নানা ধরনের খাবার খেয়েছিলেন। যা নাসার স্পেস ফুড সিস্টেমস ল্যাবরেটরি হিউস্টনে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল। এসব খাবার শুধু গরম করতে হতো মহাকাশে।
মহাকাশচারীর দৈনিক ডায়েট
মহাকাশে প্রতিদিনের খাবারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩.৮ পাউন্ড। যাতে সুনিতার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। এই খাবারের মধ্যে ছিল সিরিয়াল, টুনা, এবং অন্যান্য প্রি-কুকড মাংস। তাজা খাবারের সরবরাহ ছিল সীমিত, তবে মহাকাশে আসা নতুন মিশনগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি পাঠানো হতো।
মহাকাশে কৃষি উদ্যোগ
সুনিতা উইলিয়ামস মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করেছেন। ‘বায়োনিউট্রিয়েন্টস’ প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পুষ্টির উৎপাদন এবং লেটুস চাষের উদ্যোগ ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তারা ‘আউটরেডজাস’ রোমেইন লেটুস চাষ করছিলেন। সেই সাথে গবেষণা করছিলেন, কীভাবে শূন্য মাধ্যাকর্ষণেও লেটুসের বৃদ্ধি হয়।
এছাড়া, মহাকাশচারীরা মহাকাশে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে নতুন ধারণা পেতে, এই চাষের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন। ভবিষ্যতে দীর্ঘ মহাকাশ মিশনে খাদ্য সরবরাহ এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সুনিতা উইলিয়ামসের মহাকাশ মিশন ও চাষের এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে আরও নিরাপদ করতে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ নিউজ