পানিই জীবন। প্রতিদিন ঠিকঠাক পানি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে আর ত্বককেও রাখে সতেজ। কিন্তু কী ধরনের বোতলে পানি খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্লাস্টিকের বোতল, নাকি ধাতব? নাকি কাচের বোতল?
দিন দিন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতায় মানুষ ঝুঁকছে কাচের বোতলের দিকে। শোভন, টেকসই আর স্বাস্থ্যসম্মত এই বোতলের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত। তাই আপনি যদি প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকেন, তবে এখনই বদলান। কেন কাচের বোতলেই পানি খাওয়া নিরাপদ, জানেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো।
পানির স্বাদে একটুও পরিবর্তন হয় না
প্লাস্টিক কিংবা ধাতব বোতল থেকে কখনো কখনো পানি তিতা বা ধাতব স্বাদের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কাচের বোতলে পানি রাখলে এর স্বাদ একটুও বদলায় না। গন্ধ ধরে রাখে না, কোনো রাসায়নিকও ছাড়ে না। ফলে পানির আসল স্বাদ বজায় থাকে।
প্লাস্টিক নয়, পরিবেশবান্ধব কাচ
কাচ শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। মানেও কমে না, ক্ষতিকরও নয়। বিপরীতে, প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারের ফলে জমছে আবর্জনা, দূষণ বাড়ছে সমুদ্রে ও ভূমিতে। কাচের বোতল ব্যবহার মানেই পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল এক পদক্ষেপ।
জীবাণুমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর
কাচের বোতলে ব্যাকটেরিয়া জমার আশঙ্কা কম, কারণ এর পৃষ্ঠতল একদম মসৃণ ও অ-ছিদ্রযুক্ত। দাগ পড়ে না, গন্ধ ধরে না। আপনি সহজেই ধুয়ে নিতে পারেন সাবান-পানি বা ডিশওয়াশারে। প্রতিবার ব্যবহারে যেন একদম নতুন।
বোতলের ভেতর কী আছে, দেখাই যায়
কাচের স্বচ্ছতা আপনাকে নিশ্চিত করে তোলে, আপনি কী খাচ্ছেন। পানি ময়লা কি না, ভেতরে কিছু পড়েছে কি না, সব স্পষ্ট বোঝা যায়। বাড়তি নিশ্চিন্তি তো বটেই।
রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ পানীয়
বেশির ভাগ প্লাস্টিক বোতলে বিপিএ বা ফথ্যালেট জাতীয় ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যা গরমে পানিতে মিশে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এগুলো শরীরের ক্ষতি করতে পারে। কাচের বোতল এসব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
নান্দনিক ও আধুনিক লুক
কাচের বোতলের ঝকঝকে লুক এখন আধুনিক জীবনের প্রতিচ্ছবি। জিম হোক কিংবা অফিস, কাচের বোতল যেমন কাজে আসে, তেমনই সৌন্দর্যেও বাড়তি নম্বর পায়।
পানির বোতল বদলান, অভ্যাস বদলান। কাচের বোতল মানেই বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যকর জীবন আর পরিবেশের প্রতি সচেতন এক উদ্যোগ। প্রতিদিনের এমন ছোট্ট সিদ্ধান্তেই লুকিয়ে থাকতে পারে বড় পরিবর্তন।