যেসব অভিযোগে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার সবগুলোই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদের আমেরিকা প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসে নিজ বাসভবনে তিনি এ দাবি করেন।
জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আজিজ আহমেদের দাবি, তাঁর পরিবার ও সরকারকে বিব্রত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক।’
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমি চার বছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিজি ছিলাম, তিন বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। কেউ যদি একটা প্রমাণ দিতে পারে যে, ওই চার বছর এবং শেষের তিন বছর আমি আমার কোনো ভাইকে বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে কোনো কাজ দিয়েছি, আই অ্যাম রেডি টু অ্যাকসেপ্ট এনি কনসিকুয়েন্স।’
দুর্নীতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের ওপর আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতি বলা হয়, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এছাড়া ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনই এই নিষেধাজ্ঞা।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমাকে কিছু বলা মানে হলো, আমার পরিবারের অন্যন্যরা একটু বিব্রত হবে। আমাকে যারা নিয়োগ দিয়েছিল, আমি মনে করি তারাও কিছুটা বিব্রত হবে। তাদেরও এখানে টার্গেট করেছে কিনা আমি এটা জানি না।’