সেকশন

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

কোটা আন্দোলন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় থাকার নতুন এই মেয়াদের শুরুটা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে দোল খেতে শুরু করে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’। শেষ রক্ষা হয়নি, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ভারতে। শেষ খবর অনুযায়ী ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকায় জোরেশোরে ধাক্কাটা লাগতে শুরু করে জুলাই মাস থেকেই। এর আগে শরীফার গল্প, ছাগলকাণ্ড, এক চাকরের ৪০০ কোটি টাকার মালিকানা, বিসিএসসহ নানা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনায় সমালোচনার তুঙ্গে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

মূলত ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কোটা আন্দোলনই নতুন করে মাত্রা নেয় ২০২৪ সালে এসে। ২০১৮ সালে বিষয়টি আদালতে গেলে তা প্রায় থেমে যায়। তবে আদালতের এক রায়ের পরে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয় গত জুন থেকে।

কীভাবে শুরু দ্বিতীয় দফার কোটা আন্দোলন
জুনের ৫ তারিখ সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ফলে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাধা কেটে যায়। মূলত বিপত্তি বাধে আদালতের এই নির্দেশের পর থেকেই।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচি। ফাইল ছবি৬ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে প্রথম বিক্ষোভ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেদিন এই কোটা বাতিলের দাবিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

এর দুদিন পর ৯ জুন ফের বিক্ষোভ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে। দাবি মানতে এদিন শিক্ষার্থীরা সরকারকে সময় বেঁধে দেয় ৩০ জুন পর্যন্ত। দাবি মানা না হলে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিন একই দাবিতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

দানা বাঁধতে শুরু করে আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহার আহ্বান জানানো হয়। মাঝের তিন দিনের জন্য ঘোষণা করা হয় কর্মসূচি।

২, ৩ ও ৪ জুলাই শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসূচি পালন করে। ৪ জুলাই সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত হয়নি। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। পরের সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানানো হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক অবরোধ করে। আর ঢাকায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে ৫ ঘণ্টা। এ দিন ছাত্র সমাবেশ থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এর পরদিন ৫ জুলাই সরকারি ছুটি থাকলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

বাংলা ব্লকেড
গত ৬ জুলাই অবরোধ আর অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ছাত্র ধর্মঘট ও সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেন। এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলা ব্লকেড’। আর এই ঘোষণা অনুযায়ী ৭ জুলাই পালন করা হয় বাংলা ব্লকেড। ব্লকেডে প্রথমবারের জন্য একেবারে স্থবির হয়ে যায় রাজধানী ঢাকা।

একদিন পর ৮ জুলাইও পালন করা হয় বাংলা ব্লকেড। গঠন করা হয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম। এদিন সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে আইন পাসের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

৯ জুলাই নতুন করে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এ দিন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদনও করেন। শুনানির দিন ধার্য হয় ১০ জুলাই।

বাংলা ব্লকেডে স্থবির হয়ে যায় গোটা রাজধানী। ফাইল ছবি১০ জুলাই সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন রাখা হয়। তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরও দমেনি আন্দোলন।

১১ জুলাইও ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশি বাধার মুখেও বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এই আন্দোলন অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণ বেআইনি। আন্দোলনকারীরা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছেন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শিক্ষার্থীরা ‘লিমিট ক্রস’ করে যাচ্ছেন।

এরপরও দমেননি শিক্ষার্থীরা। তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান। সড়কের পাশাপাশি প্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। ১৩ জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

১৪ জুলাই প্রথম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলার পর আদালত যে রায় দেন, এতে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই। আদালতেই সমাধান করতে হবে।’ শেখ হাসিনা আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?’

কোটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শেখ হাসিনা। ফাইল ছবিশেখ হাসিনার এই বক্তব্য অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার মতো হয়ে যায়। মধ্যরাতে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। মিছিল হয় জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেদিন রাত ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে বিক্ষোভের পর মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে। জমায়েতে শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।

১৫ জুলাই ফের কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন ওবায়দুল কাদের। আগের রাতের মিছিল থেকে দেওয়া নানা স্লোগান নিয়ে কাদের বলেন, আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে। কাদেরের এই বক্তব্যের পর আরও তৎপর হয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এদিন দুপুরেই ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁদের শেষ দেখে ছাড়বেন। এরপরই বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয়। গুলি করতেও দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়। আহত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।

আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকে ১৬ জুলাইয়েও। এদিন ছাত্রলীগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে যুবলীগসহ সরকার সমর্থকেরা। আন্দোলনকারীদের রুখতে কঠোর হয় পুলিশও। এই প্রথম দ্বিতীয় দফার এই কোটা আন্দোলনে নিহতের ঘটনা ঘটে। এ দিন সারা দেশে সহিংসতায় মারা যান ছয়জন। এদিনই পুলিশের গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ফুঁসে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। ঘোষণা আসে নিহতের স্মরণে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসূচি পালন করে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়নসহ ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত করার দাবি ওঠে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল বন্ধের ঘোষণা ও পুলিশের তৎপরতায় অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে যান।

রাত সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তিনি আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।

১৮ জুলাই আন্দোলনের মাত্রা আরও বেড়ে গেলে সারা দেশে মোতায়েন করা হয় বিজিবি। এ দিন সারা দেশে সংঘর্ষে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যায়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশ ছিল প্রায় অচল।

কারফিউ জারি, ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
১৯ জুলাই শিক্ষার্থীরা পালন করে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি। রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকা ছিল কার্যত অচল, পরিস্থিতি ছিল থমথমে। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়। এদিন সহিংসতায় অর্ধশতাধিক প্রাণহানি হয়। শিক্ষার্থীরা নতুন করে ঘোষণা দেয় ৯ দফা দাবির। বলা হয়, এই দাবি না মানা পর্যন্ত সারা দেশে শাটডাউন চলবে। এদিন রাতে সারা দেশে কারফিউ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এদিন থেকে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হতে শুরু করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি২০ জুলাই চলমান কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়। ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটিও। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। এদিন তিন সমন্বয়ক দেখা করেন তৎকালীন আওয়ামী সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে। এদিনই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

কোটা নিয়ে আদালতের রায়
২১ জুলাই সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল (রদ ও রহিত) করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই নির্দেশনার আলোকে সরকারের নির্বাহী বিভাগকে অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

তবে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০ ছুঁইছুঁই। আদালতের এই রায়ে শিক্ষার্থীরা দমে না গিয়ে নিহতের সংখ্যাকে সামনে রেখে আন্দোলন আরও জোরদারের আহবান জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৬ সমন্বয়কের যৌথ বিবৃতি শিরোনামে একটি খুদে বার্তা গণমাধ্যমকর্মীদের মুঠোফোনে পাঠানো হয়। যৌথ বিবৃতিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, শুধু আদালতের রায়ের মাধ্যমে হত্যার দায় এড়াতে পারে না সরকার। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ‘তিন শতাধিক’ ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।

২২ জুলাই শেখ হাসিনা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা প্রজ্ঞাপনে অনুমোদন দেন। ২৩ জুলাই সেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানামুখী সংঘর্ষের ঘটনা চলতেই থাকে। বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। এদিন রাতে সীমিত আকারে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সারা দেশেই সংঘর্ষ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে। ফাইল ছবি২৪ ও ২৫ জুলাইও সারা দেশে সংঘর্ষ হয়। সেদিন রাজধানীর মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো ঘুরে দেখেন শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কোটা সংস্কারের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটিকে তাঁরা চূড়ান্ত সমাধান মনে করছেন না। যথাযথ সংলাপের পরিবেশ তৈরি করে নীতিনির্ধারণী জায়গায় সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। এ ছাড়া কোটা সংস্কারের বিষয়ে সংসদে এখনো আইন পাস করা হয়নি। তাই কোটা সমস্যার এখনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি। ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্য’ শিরোনামে এক বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলা হয়। বিবৃতিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও সহসমন্বয়ক রিফাত রশীদ। এদিন থেকে কারফিউও কিছুটা শিথিল করা হয়।

২৬ জুলাই সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করে আইন‑শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারের সংখ্যার সঙ্গে বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যাও। নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একদল ব্যক্তি সাদা পোশাকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডির ওই হাসপাতাল থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যান। সে সময় ওই ব্যক্তিরা নিজেদের আইন‑শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। সেখানে উপস্থিত এক সমন্বয়কের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এ তথ্য জানান। ২৭ জুলাই তুলে নেওয়া হয় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে। বাড়ানো হয় কারফিউয়ের শিথিলতা।

২৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ। ডিবির ভেতর থেকে এই সমন্বয়কদের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। সেখানে নাহিদ ইসলামকে বলতে দেখা যায়, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। এটি সরকার ইতিমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’ সমন্বয়কদের সঙ্গে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন একই টেবিলে খাবার খাচ্ছেন–এমন কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ওই সময়।

ডিবি হেফাজতে রেখেই শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। ফাইল ছবিতবে নাহিদ ইসলামসহ ছয় সমন্বয়কের ওই ভিডিও বার্তা আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথক বার্তায় আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘অস্ত্রের মুখে ডিবি অফিসে ৬ সমন্বয়কের ভিডিও বিবৃতি নেওয়া হয়েছে। ডিবি অফিস কখনোই ছাত্রদের সংবাদ সম্মেলনের জায়গা নয়।’

মধ্যরাতে ‘সমন্বয়কদের কাছ থেকে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি আদায়, সারা দেশে বিনা বিচারে হত্যা, গুম-খুন, মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে’ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুক্ত থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক।

এ দিন রাতে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট।

২৯ জুলাই ডিবি হেফাজতে থাকা শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ও শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিট শুনানিতে আদালত ডিবির হারুনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’

এদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল জামায়াতে ইসলাম ও দলটির ছাত্র সংগঠন শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

মার্চ ফর জাস্টিস, ফেসবুক ছেয়ে যায় লাল রঙে
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ৩০ জুলাই থেকে অনেকেই প্রোফাইল ছবি লাল রঙের ফ্রেমে রাঙাতে থাকেন। সরকার সমর্থিত অনেকেই নিজেদের প্রোফাইল রাঙিয়েছিলেন কালো রঙে। এদিনই ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয় পুরো দেশ। ফাইল ছবি৩১ জুলাই মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন আন্দোলনের নাম দেওয়া হয় ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’। কর্মসূচি পালনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ, শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন/গ্রাফিতি, দেয়াল লেখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট তৈরি প্রভৃতি।’

মুক্ত সমন্বয়ক, নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির
১ আগস্ট বেলা দেড়টার দিকে ডিবি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ছয় সমন্বয়ককে। তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে মুক্ত হয়ে সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘ছয় দিনের ডিবি হেফাজত দিয়ে ছয়জনকে আটকে রাখা যায়, কিন্তু এই বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে আটকে রাখবেন? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন প্রতিনিয়ত, সেগুলো কীভাবে নিবৃত্ত করবেন?’

সারজিস যুক্ত করেন, ‘পরিশেষে এটুকু বলতে চাই, এ পথ যেহেতু সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই যেকোনো কিছু মোকাবিলা করতে আমরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। যত দিন না এ বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, ততদিন এ লড়াই চলবে।’

এদিনই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

২ আগস্টও সারা দেশে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা–সংঘর্ষ হয়। এদিন পুলিশ নিহতের খবরও পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনার আলোচনার প্রস্তাব, এক দফার ডাক
৩ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা। সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিশাল জমায়েত থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবি আসে।

মার্চ টু ঢাকা
শহীদ মিনার থেকে মার্চ টু ঢাকা আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। ফাইল ছবি৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাঠে নামার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সারা দেশে ব্যাপক সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। শাহবাগে ব্যাপক জমায়েতের মধ্যে পরদিন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে। জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকার পতন
৫ আগস্ট সকালেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর খবর আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সেদিন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকামুখী হন হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। সকাল ১০টার পর থেকেই উত্তরা দিয়ে ঢাকায় ঢুকতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ।

এদিন দুপুর নাগাদ শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা শোনা যায়। শেষে খবর আসে, সামরিক উড়োজাহাজে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা।

গণভবন দখলে নেয় ছাত্র-জনতা। দেওয়া হয় আগুন। ফাইল ছবিতাৎক্ষণিক এক ভাষণে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর ওপর ভরসা রাখতে বলেন দেশবাসীকে। তিনি জানান, দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে।

সেদিন ঢাকাসহ সারা দেশের পথে পথে হয় আনন্দ মিছিল। গণভবনে ঢুকতে থাকে অজস্র মানুষ, চলে লুটপাট। বিভিন্ন থানায় হামলা হয়, আক্রান্ত হয় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং বহু রাজনৈতিক নেতার বাড়িঘর।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ বৃহস্পতিবার।
মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে খরচ কমল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দর কষাকষিতে কমানো হয়েছে ১৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, রেললাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও সংকেত...
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা রনি ইসলাম, নিহত হন ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই। বছর ঘুরলেও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের সরকারি তালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। উপার্জনক্ষম সদস্য হারিয়ে, আর্থিক সংকটে দিন কাটছে...
জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার ও নির্বিচারে গুলি চালাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে আদেশ দেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যসহ চার আসামিকে কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে...
ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ বলা হচ্ছিল ম্যাচটিকে। ম্যাচের আগে আবহাওয়াও অপেক্ষায় রাখিয়ে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর আসল ঝড় বয়ে গেল রেয়াল মাদ্রিদের ওপর। পিএসজির আক্রমণের...
এখন বাজারে গেলে কাঁকরোল দেখতে পাবেন। কাঁকরোল দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের তরকারি। তরকারি ছাড়াও কাঁকরোল দিয়ে ভর্তাও করা যায়। এই ভর্তা বানানো খুবই সহজ এবং গরম ভাতের সঙ্গে খেতে অসাধারণ লাগে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের রাজধানী দিল্লি। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। 
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.