৭টি ছবির এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। ৬টি তাঁর ছোটবেলায় বাবার আদরে মাখা, স্নেহে জড়ানো ছয়টি মুহূর্তের। শেষের ছবিটি শুধুই তাঁর বাবার – হাসিমুখে দাঁড়িয়ে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, এড শিরানের ‘ভিজিটিং আওয়ার’ গানটির প্রথম পংক্তিটিই আবেগে টোকা দিয়ে যায় – ‘শুধু যদি স্বর্গে ভিজিটিং আওয়ার থাকত!’
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা – ‘স্বর্গীয় জন্মদিনের শুভেচ্ছা, বাবা। তোমাকে এত্ত ভালোবাসি! আজকের দিনটি সব সময়ই তোমার স্পেশাল দিন হয়ে থাকবে।’
স্বর্গে স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে নেওয়া এক বাবার জন্মদিনে তাঁর মেয়ের শুভেচ্ছা। মেয়ের ব্রুকের নামটা অত পরিচিত না হলেও ক্রিকেটে এমন কেউ নেই যিনি চেনেন না ব্রুকের বিশ্ববিখ্যাত বাবাকে - শেন ওয়ার্ন। বেঁচে থাকলে আজ ৫৫তম জন্মদিন পালন করতেন কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার।
তাঁকে যেমন দেখেছে সবাই, ক্রিকেট ছাপিয়ে জীবন উপভোগের মন্ত্র যেভাবে ছড়িয়ে গেছেন পুরো জীবন… আজ বেঁচে থাকলে যে ওয়ার্নের ধুমধামে জন্মদিন পালনের অনেক ছবিই সামনে আসত, এ নিয়ে সংশয় নেই। স্বর্গে জন্মদিনের উৎসব হয় কি না, হলে কীভাবে হয় জানার উপায় তো নেই, উৎসবের সুযোগ থাকলে ওয়ার্ন নিশ্চয়ই এতক্ষণে সবাইকে হইহুল্লোড়ে মাতিয়ে রেখেছেন।
আনন্দের স্মৃতি থেকে রূপ বদলে ফেলা দীর্ঘশ্বাসগুলো শুধু থেকে গেছে মর্ত্যে তাঁর পরিবার, বন্ধু, কাছের মানুষ আর ভক্তদের জন্য। ২০২২ সালের ৪ মার্চ থেকেই যে ওয়ার্ন মানে শুধু স্মৃতি!
থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে দুঃস্বপ্নের মতো সে দিনে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন ওয়ার্ন। দুবছরেরও বেশি পেরিয়ে গেছে, এখনো হয়তো তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস হতে চায় না খবরটা যে – ওয়ার্ন নেই। পরিবার-বন্ধুদের আবেগে ভালোবাসা আরও বেশি জড়িয়ে।