চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ১০৩৩ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে - এমনটাই কদিন আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াসহ একাধিক গণমাধ্যম। এমন খবর প্রকাশের পরই সমালোচনা শুরু হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিয়ে। ২৯ বছর পর নিজ মাটিতে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা পাকিস্তান একে তো গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেই বাদ পড়েছে, তারওপর এমন আর্থিক ক্ষতি হয়েছে শুনলে সমালোচনা তো হওয়ারই কথা।
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ ভিত্তিহীন জানিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দাবি করেছে, আইসিসির এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে পিসিবি কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে তো পড়েইনি, উল্টো দেশটির বোর্ড ১৩০ কোটি টাকা লাভ করেছে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এমটাই দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র আমির মীর ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাভেদ মুর্তজা।
পিসিবির আয় বেড়েছে জানিয়ে বোর্ডের মুখপাত্র আমির মীর বলেন, ‘টুর্নামেন্টের (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) সব ধরনের খরচ আইসিসি বহন করেছে। পিসিবি গেইটমানি ও টিকিট বিক্রি থেকে রাজস্ব অর্জন করেছে এবং আমরা আশা করছি, নিরীক্ষা শেষে আইসিসির কাছ থেকে আরও ৩০০ কোটি (পাকিস্তানি) রুপি আসবে।’ অঙ্কটা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।
মীর আরও বলেন, পিসিবি প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি পাকিস্তানি রূপি আয় হবে বলে ধারণা করেছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ক্রিকেট বোর্ডের ধারণার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় করতে পেরেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই মুখপাত্র সবকিছুর পেছনে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির অবদান আছে বলে জানান। মীর আরও দাবি করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান অর্থনৈতিক অর্জন আগের বছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেড়েছে, এবং তাদের আয়ের এই প্রবৃদ্ধি পিসিবিকে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি ধনী ক্রিকেট বোর্ডের একটি বানিয়ে দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পিসিবির সব আয় ব্যয়ের হিসেব কদিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মীর। সেই সঙ্গে ফাইনাল পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কাউকে না রাখার বিষয়টি নিয়ে পিসিবি আইসিসি থেকে এখনো উত্তরের আশায় আছে বলে জানান তিনি।