প্রিয়ানশ আরিয়া- নামটি এখন ভারতীয় ক্রিকেটের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন পাঞ্জাব কিংসের এই ওপেনার।
৩৯ বলে সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি ওপেনার খবরের শিরোনাম গতকাল রাত থেকেই। ২৪ বছর বয়সী প্রিয়ানশের আগ্রাসী সেঞ্চুরির পর এবার ভেতরের অজানা খবর জানিয়েছেন তাঁর ছোটবেলার কোচ সাঞ্জেয় বারাদওয়াজ।
৭ চার ও ৯ ছক্কায় ৪২ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলা প্রিয়ানশ আইপিএলের আগে থেকেই আলোচনা ছিলেন দিল্লির একটি ঘরোয়া লিগে ৬ বলে ৬ ছক্কা মেরে। এমন পারফরম্যান্সের পর নিলাম ৩০ লাখের ভিত্তিমূল্য থেকে প্রিয়ানশকে ৩ কোটি ৮০ লাখ রূপিতে দলে টানে পাঞ্জাব কিংস। তবে আইপিএলে সুযোগ পেয়ে শুরুর ম্যাচগুলোতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কিন্তু গতকালকের ১০৩ রানের ইনিংসের মাধ্যমে প্রিয়ানশ সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন ভিন্ন কিছু করতেই আইপিএলে এসেছেন তিনি। আগের ম্যাচেই রাজস্থানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন প্রিয়ানশ। তবে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরের ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা এই ক্রিকেটার কীভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন! তাঁর ছোটবেলার কোচ সাঞ্জেয় বারাদওয়াজ জানিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার অতি সাধারণ ও শ্রদ্ধাশীল, সব সময় কোচের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে প্রিয়ানশের কোচ বারাদওয়াজ বলেছেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলার আগে প্রিয়ানশ আমাকে ফোন করেছিল। ও বলেছে, “নমস্কার স্যার। কেমন ছিল (সেঞ্চুরির ইনিংসটি)?” এরপর আমি ওকে প্রশ্ন করেছি, গতকাল কী হয়েছিল? ও আমাকে বলল, “তেমন কিছু না। এসব কিছু সৃষ্টিকর্তার চাওয়া। আমি কিছু করিনি (হেসে)।” আমি ওকে সবসময় বলি সৃষ্টিকর্তা সবকিছু করে থাকে। সৃষ্টিকর্তাই তোমাকে এসব করাচ্ছে।’
এরপর বারাদওয়াজ জানান প্রিয়ানশ গতকাল সেঞ্চুরির পর দেরিতে ঘুমালেও সকালেই তাঁকে ফোন করেছেন। ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বন্যী জানিয়ে কোচ বলেন, ‘ও আমাকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ফোন করেছে। ও রাত ২-৩টার দিকে ঘুমিয়েছে। ও সব সময় এমনই। ও অনেক সাধারণ এবং সব সময় অনেক সম্মান দেয়।’
আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডবুকে নাম লেখানো এই বাঁহাতি ওপেনারকে নিয়ে এখনই অনেকে স্বপ্ন দেখছেন। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির অবসরের পরও টি-টোয়েন্টিতে ভারতের পাইপলাইন যে অনেক শক্তিশালী তা প্রিয়ানশের মতো ব্যাটসম্যানদের আবির্ভাবই বলে দিচ্ছে।