আগের দিন শারজাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের ২৭ রানের জয়ের ম্যাচে আমিরাতকে আটকে দিতে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার।
একদিন পর গতকাল রোববার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে মাঠে নামেন মোস্তাফিজ। উইকেট না পেলেও শারজার ফর্ম টেনে নিয়েছিলেন দিল্লিতে। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ৩ ওভারে মোটে ২৪ রান দিয়েছেন। দলের সেরা বোলারও ছিলেন বাংলাদেশি তারকা।
কিন্তু মোস্তাফিজের এমন ‘কিপটে’ বোলিং-ও খুব একটা কাজে আসেনি। সাই সুদর্শন (৬১ বলে ১০৮ রান) আর শুবমান গিলের (৫৩ বলে ৯৩ রান) অবিচ্ছিন্ন ২০৫ রানে জুটিতে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে গুজরাট। এতে গুজরাট নিজেরা প্লে-অফ নিশ্চিত করেছেই, সঙ্গী করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসকেও।
গতকাল আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে (৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান) ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৯ রান তোলে দিল্লি। কিন্তু জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।
মোস্তাফিজ একা চেষ্টা করে গেছেন। সুদর্শন আর গিল যখন পাওয়ার প্লে-তে রান উৎসবে মেতেছিলেন, এমন পরিস্থিতেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ৩ ওভারেই ৪৩ রান তুলেছিল গুজরাট। চতুর্থ ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে সে রান উৎসবে বাধ দেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে খরচ করেন মোটে ৬ রান। আর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে দিয়েছেন ৭ রান। তাতে ৬ ওভার শেষে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৫৯ রান।
মোস্তাফিজ নিজের শেষ ওভার করেছেন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। দুই বাউন্ডারিতে ওই ওভারে ১১ রান দেন মোস্তাফিজ। কিছুটা খরুচে ওভার হলেও সবমিলিয়ে বাংলাদেশি পেসার ওভারপ্রতি ৮রান দিয়েছেন। দিল্লির আর কোনো বোলার ওভারপ্রতি ৯ রানেও থাকতে পারেননি।
আকশার প্যাটেল-নতরজনদের বেধড়ক পিটিয়ে সুদর্শন আর গিল গুজরাটকে জয় এনে দেন ইনিংসের ৬ বল হাতে রেখেই।