আজই শুরু হচ্ছে মেয়েদের ইউরো। এদিকে ইউরোপে চলছে তাপপ্রবাহে। তীব্র গরমে এরই মধ্যে ইতালিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই নিজেদের নিয়ম ভেঙে ইউরোতে সমর্থকদের পানির বোতল নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে উয়েফা।
দক্ষিণ স্পেন ও পর্তুগালে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ইংল্যান্ডেও ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে কিছু অঞ্চলে। ইউরোর আয়োজক সুইজারল্যান্ডে তাপমাত্রা এতটা তীব্র না হলেও তাপপ্রবাহের প্রভাব সেখানে পড়েছে। ৩০ ডিগ্রির ওপরে থাকছে তাপমাত্রা।
টুর্নামেন্টের আয়োজক ও এই অঞ্চলের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গতকাল জানিয়েছে ইউরোর প্রথম দুইদিন অর্থাৎ ২ ও ৩ জুলাই নিরাপত্তার কঠিন নিয়মে একটু ঢিল দেবে তারা। সমর্থকদের আধা লিটারের প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল আনতে দেওয়া হবে। তবে কোনো কাঁচের বোতল নেওয়া যাবে না।
যদিও উয়েফার বাকি সব টুর্নামেন্টের মতো ইউরোর টিকিটেই লেখা ছিল, ‘কোনো ধরনের বোতল, জগ বা ক্যান কিংবা প্লাস্টিক, গ্লাস বা ভঙ্গুর অন্য কোনো বস্তু দিয়ে বানানো অন্য কোনো জিনিস’ স্টেডিয়ামে আনা যাবে না। শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ঢোকা যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে বানানো এই নিয়মটাই দুই দিনের জন্য শিথিল করছে কর্তৃপক্ষ।
মিটিওরোলজিকাল সার্ভিস মিটিওসুইস বলছে, আজ নরওয়ের বিপক্ষে স্বাগতিক সুইজারল্যান্ডের ম্যাচের সময় বাসেলের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির মতো থাকতে পারে। সারা দেশেই এমন তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা আছে।
উয়েফা এক বিবৃতিতে দর্শকদের ছায়ায় থাকার এবং নিয়মিত পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছে, ‘আমরা চাই নারী ইউরো চলাকালে আপনারা নিরাপদ বোধ করুন, যাতে উচ্চ তাপমাত্রাতেও আপনারা টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে পারেন।’
তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠতে উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী কুলিং ব্রেকও নেওয়া যায়, রেফারিও পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তবে সব ম্যাচেই পানির বোতল নেওয়ার সুযোগ এখনো দেয়নি উয়েফা। আপাতত ২ ও ৩ জুলাইয়ের চারটি ম্যাচ- সুইজারল্যান্ড-নরওয়ে, আইসল্যান্ড-ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম-ইতালি ও স্পেন-পর্তুগালের ম্যাচে এ সুযোগ থাকছে।