লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের আকাশ থেকে নক্ষত্রপতন ঘটল। মারা গেছেন নোবেলজয়ী কথাসাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা। গত রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কিংবদন্তী এই কথাসাহিত্যিক।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, য়োসার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ছেলে আলভারো বার্গাস। এই সাহিত্যিকের প্রয়াণের মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের সোনালি যুগের প্রজন্মের অবসান হলো।
আলভারো বার্গাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের বাবা মারিও বার্গাস য়োসা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন।’ এক্সে পোস্ট করা এ ঘোষণায় সই করেছেন য়োসান আরও দুই ছেলে—গোনসালো ও মরগানা বার্গাস য়োসা।
দক্ষিণ পেরুর অ্যারিকুইপায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৩৬ সালে জন্মেছিলেন মারিও বার্গাস য়োসা। স্প্যানিস ভাষার এই লেখক ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
য়োসার উত্থান গত শতকের ১৯৬০ ও ’৭০–এর দশকে। ওই সময়ের কালজয়ী কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন কলম্বিয়ার গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও আর্জেন্টিনার হুলিও কোর্তাসার।
য়োসার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’, ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’, ‘দ্য গ্রিন হাউস’, ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘দ্য ফিস্ট অব দ্য গোট’। প্রায় ৩০টি ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে।
গত কয়েক মাস আগে য়োসার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে তাঁকে আর জনসম্মুখে আর দেখা যায়নি।
মারিও বার্গাস য়োসার মৃত্যুতে গতকাল সোমবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল পেরু। এ সময় সরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল।