ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ করেছেন চালকেরা। আজ সোমবার সকালে রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুরের মূল সড়ক অবরোধ করেন চালকেরা। এর কিছু সময় পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে অটোরিকশা চালকেরা রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুরের মূল সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওলাদ হোসেন বলেন, সড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি হলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সড়কে এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
গতকাল রোববারও অটোরিকশা চালকেরা রাজধানীতে বিক্ষোভ করেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন চালকেরা। পরে মিরপুর ১১, মিরপুর ১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শত শত চালক বিক্ষোভে যোগ দেন।
একজন বিক্ষুব্ধ চালক বলেন, ‘আমাদের কথা হলো, যদি ঝুঁকিপূর্ন হয় সেই গাড়িগুলো বাদ দিয়ে ভালো ব্রেকিং সিস্টেমের গাড়ি ছাড়া হোক। আমাদেরকে সেই গাড়ি যেভাবেই দেওয়া হোক, কিস্তি বা লাইসেন্সের মাধ্যমে দেওয়া হলেও আমরা নেবো।’
চালকদের বিক্ষোভে কয়েকটি বাস-মিনিবাস ভাংচুর ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চালকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবস্থানে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এর আগে, গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়ানো বিপজ্জনক ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) জানায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রংচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: