একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান মুখোমুখি দাঁড় করানোর বিষয় নয়, বরং ধারাবাহিকতার। এমন বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহম্মদ খান। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ কালরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার স্মরণে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। চব্বিশের গণহত্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করছে বলেও জানান উপাচার্য।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্বালন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
একাত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় চব্বিশে তৈরি হয়েছে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের স্বপ্ন।
ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান বলেন, ‘আমরা তুলনা করা শুরু করি, চব্বিশের সাথে একাত্তরের, বায়ান্নর সাথে একাত্তরের। এই প্রতিটি ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনের পরিচয় প্রদানকারী মাইলফলক। এদেরকে মুখোমুখি দাড় করানোর সুযোগ নেই। এর পরম্পরা আছে, ধারাবাহিকতা আছে।’
গণহত্যার স্মরণে প্রদর্শনীর আয়োজন করে জগন্নাথ হল। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানের বর্বরতার প্রতীকী তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় হলের মন্দির বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের ভয়াল কালরাতের স্মরণে রাত সাড়ে দশটায় ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়।