নাটোরের গুরুদাসপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুমের চেষ্টার অভিযোগে সাকিব হোসেন নামে এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাকিব হোসেন গুরুদাসপুরের বালসা গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত সাকিব ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটির সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন তালুকদার টগর জানান, ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে শিশু খাদিজা বাড়ির পাশে তার চাচা মিলন হোসেনের বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। এ সময় খাদিজার চাচাতো ভাই সাকিব হোসেন বাড়িতে একা ছিল। পরে খাদিজাকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে সাকিব। বিকেলে সাকিবের মা ও বাবা বাড়িতে আসলে ঘটনাটি জানতে পেরে শিশুটির মরদেহ লোহার ট্রাঙ্কে ভরে রেখে দেয়। এদিকে দীর্ঘ সময় শিশু খাদিজাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২১ ডিসেম্বর গুরুদাসপুর থানায় একটি জিডি করেন শিশু খাদিজার বাবা মনিরুল ইসলাম। পরে সাকিবের মা ও বাবা মিলে শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দী করে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর পুকুর থেকে খাদিজার বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ সাকিব হোসেনকে আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ বছর মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন। ঘটনার সময় সাকিব হোসেনের বয়স ১৬ বছর হওয়ায় কিশোর অপরাধ হিসেবে তাকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়।