বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ভেঙে গেছে বেশিরভাগ সড়ক। পানির প্রবল তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতু ও কালভার্টও। দ্বিতীয় দফা বন্যার নয় দিন পেরোলেও, স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক শিগগিরই সংস্কার শুরুর আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষের।
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢল সুনামগঞ্জের সব জায়গায়ই রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। জেলার সব সড়কই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নামলেও অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বানের পানিতে ডুবে থাকায় সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। কোথাও উঠে গেছে পিচ-কংক্রিট। জেলা সদর থেকে ছাতক-দোয়ারাবাজারের একটি অংশ স্রোতের তোড়ে ভেঙে যায়।
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কাঁচা-পাকা সড়কে হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। যানবাহন কিংবা মানুষের চলাচলে ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
এলাকাবাসী বলছেন, বন্যায় রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় কোনো যানবাহন এদিকে আসতে পারছে না। আর এলাকাবাসীও চলাচল করতে পারছে না। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তাকে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব।
পানি পুরোপুরি নামলে ক্ষয়ক্ষতির আরও তথ্য পাওয়া যাবে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই এসব রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যায় যে সকল সড়ক-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
বন্যায় জেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতি চার শ কোটি টাকা।