ডলার সংকট, এলসি জটিলতা আর উচ্চ শুল্কহারের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খেজুরের আমদানি গেল বছরের তুলনায় নেমে এসেছে অর্ধেকে। এতে আগামী রমজানে ঘাটতি হতে পারে বলছেন আমদানিকারকেরা। তবে এখনও পর্যাপ্ত সময় থাকায় শঙ্কা দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, এই অর্থবছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩ হাজার ৬৩৯ টন খেজুর আমদানির অনুমতি চেয়েছেন আমদানিকারকেরা। এরইমধ্যে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৮৩৭ টন। গত বছর একই সময়ে আনা হয়েছিল সাড়ে চার হাজার টনের বেশি খেজুর।
খেজুর আমদানিকারক ফারুক আহমেদ জানান, আগে প্রতি কন্টেইনার খেজুরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা শুল্ক দিতে হত। সেখানে ২০২৩ সাল থেকে কেজিপ্রতি আড়াই থেকে চার ডলার পর্যন্ত শুল্ক গুণতে হচ্ছে। এতে প্রতি কন্টেইনারে শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। এ কারণে আগ্রহ হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, যে টাকা দিয়ে আমদানিকারকেরা খেজুর আমদানি করছেন তার থেকে কম দামে যদি বাজারে বিক্রি করতে বলা হয় তাহলে তারা অবশ্যই আমদানি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
তবে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এরইমধ্যে যতটা অনুমতি নেওয়া হয়েছে সেই পরিমাণ আমদানি হলে খেজুরের ঘাটতি হবে না।
দেশে বছরের খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে রমজান মাসে।