এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ চালু হতে পারে শাহজালাল বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল। কিন্তু আলাদা রানওয়ে না থাকায় উড়োজাহাজ চলাচলে জট তৈরির শঙ্কা দেখা দেবে বলে মনে করেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, থাকা উচিত ছিল প্যারালাল রানওয়ে। এদিকে সিভিল অ্যাভিয়েশন বলছে, অটোমেশন হচ্ছে এ বিমান বন্দর। পুরোপুরি চালু হলে সক্ষমতা আরও বাড়বে। পরিচালনা করা যাবে অনেক বেশি ফ্লাইট।
বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল আকাশপথে যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিগত সরকার। তবে চালুর আগেই নির্মাণ খরচ, সক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বর্তমানে শাহজালালে দিনে অন্তত ৩০টিরও বেশি সংস্থার ১৯০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। থার্ড টামিনাল চালু হলে তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হবে।
তবে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওবি) মহাসচিব মফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে একটি রানওয়েতে উড়োজাহাজ ওঠা-নামায় ১০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে আরেকটি রানওয়ে তৈরি না করে সেবা বাড়ানোর চিন্তা অযৌক্তিক। বড় জট তৈরির শঙ্কা রয়েছে।
প্রকল্পে দ্বিতীয় আরেকটি রানওয়ে করার প্রস্তাব থাকলেও পরে সেটি বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিমানবন্দরকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে অটোমেশনে কনভার্ট করা হয়েছে। একটি রানওয়ে দিয়ে উড়োজাহাজ পরিচালনায় কোনো শঙ্কা দেখছেন না তারা।