আপনি হয়তো মাস্কারা লাগিয়েছেন বহুবার, কিনেছেন নামীদামি ব্র্যান্ড, ঘনত্ব পেতে চেয়েছেন প্রতিবার। কিন্তু তারপরও পাপড়ি হয়তো ক্লাম্পড, কার্ল হয় না, আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢলে পড়ে। মাস্কারার ব্র্যান্ড নয়,আপনার সমস্যা হতে পারে কৌশলটাতেই।
সম্প্রতি ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি নতুন মাস্কারা অ্যাপ্লিকেশন ট্রিক, ‘ল্যাশ স্যান্ডউইচ’। নামটা শুনে খানিকটা খাবারের মতো লাগলেও এর পদ্ধতি পুরোপুরি রূপচর্চাবিষয়ক। এই কৌশলে চোখের পাপড়ি হবে ঘন, কার্লড এবং সুশৃঙ্খল। সবচেয়ে বড় কথা, এটি ব্যবহার করে প্রশংসা করছেন বিউটি বিশেষজ্ঞ, সেলিব্রিটি ও মেকআপ আর্টিস্টরা।
কৌশলটা কী?
‘ল্যাশ স্যান্ডউইচ’ মূলত একটি তিন স্তরের মাস্কারা অ্যাপ্লিকেশন পদ্ধতি। সাধারণত আমরা মাস্কারা একবারে গোটা পাপড়িতে লাগিয়ে নিই। কিন্তু এতে ক্লাম্পিং হয়, কার্ল স্থায়ী হয় না এবং পাপড়ির ভলিউমও ঠিকমতো আসে না।
এই নতুন কৌশলে পাপড়িকে তিনটি ভাগে ভাগ করে ধাপে ধাপে মাস্কারা লাগানো হয়।
প্রথম ধাপ (বেস কোট): কার্ল করার পর হালকা মাস্কারা লাগাতে হবে শুধুমাত্র পাপড়ির গোড়ায়। এরপর অপেক্ষা করতে হবে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড।
দ্বিতীয় ধাপ (মিডল কোট): এবার মাস্কারা লাগাতে হবে মাঝখানের অংশে। এখানে পাপড়ির গোড়া বা টিপে চাপ দেওয়া যাবে না। আবার অপেক্ষা করতে হবে একই সময়।
তৃতীয় ধাপ (টিপ কোট): এবার শেষবারের মতো মাস্কারা লাগাতে হবে শুধু পাপড়ির ডগায়।
এইভাবে মাস্কারা লাগালে পাপড়ি হয়ে ওঠে ঘন, কার্লড ও একদম নিখুঁত। যেমনটা হয় পেশাদার মেকআপে।
মাস্কারা দেয়ার মাঝখানে একটি পরিষ্কার ও শুকনো স্পুলি ব্রাশ দিয়ে পাপড়ি আলাদা করে নিতে পারেন। এতে ক্লাম্পিং হবে না। আর মাস্কারার ব্রাশটি যদি উল্টো (ভার্টিক্যালি) ধরে ব্যবহার করেন, তাহলে চোখের কোণের ছোট পাপড়িগুলোও অনায়াসে রঙিন হবে।
একসাথে সব পাপড়িতে মাস্কারা লাগালে চোখের পাতা ভিজে যায় ও ভারী হয়ে পড়ে। ফলে ঘনত্ব কমে যায়, কার্ল ভেঙে যায়। ‘ল্যাশ স্যান্ডউইচ’ পদ্ধতিতে পাপড়ি ধাপে ধাপে রঙিন হয়। ক্লাম্প তৈরি হয় না, আর কার্ল অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে।
নতুন মাস্কারা কেনার আগে কৌশল বদলান। ‘ল্যাশ স্যান্ডউইচ’ পদ্ধতিতে চোখের পাপড়ি সাজান নতুন আঙ্গিকে, ঘন, লম্বা ও নিখুঁত। আর আপনি নিজেই বুঝবেন, পার্থক্যটা কোথায়।