রেড কার্পেটের সাজ বলতে আমরা অনেক কিছু বুঝি। কিন্তু কিছু সাজ এমন হয়, যা বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ ভোলে না। ১৯৮৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিন্সেস ডায়ানার উপস্থিতি ঠিক তেমনই এক স্মরণীয় মুহূর্ত।
সেদিন তিনি পরেছিলেন হালকা নীল রঙের একটি গাউন, যা বানিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় ডিজাইনার ক্যাথরিন ওয়াকার। এই গাউনটিই আজ ‘সফট গ্ল্যাম’ লুকের পথ দেখিয়েছিল, যখন এই শব্দটাই কেউ শোনেনি।
ডায়ানা আর চার্লস গিয়েছিলেন ফ্রান্সের রিভিয়ারায় মাত্র দশ ঘণ্টার জন্য। একটা সিনেমার স্ক্রিনিং আর একটি ডিনার, এই ছিল মূল পরিকল্পনা। কিন্তু প্রিন্সেস ডায়ানা তাঁর সাজ আর উপস্থিতি দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে ফেললেন।
সেদিন তিনি যে নীল রঙের গাউন পরেছিলেন, তা যেন স্বপ্নের মতো। কাপড়টা ছিল পাতলা, যেন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। গলায় স্কার্ফের মতো একটা অংশ নেমে এসেছে কোমরের নিচ পর্যন্ত। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছিল, যেন পুরোনো হলিউডের কোনো সিনেমার দৃশ্য।
এই সাজের অনুপ্রেরণা ছিল অভিনেত্রী গ্রেস কেলির পোশাক থেকে, যেটা ছিল হিচককের সিনেমা ‘টু ক্যাচ আ থিফ’-এ। ডিজাইনার ওয়াকার সেটা মাথায় রেখেই এই গাউনটি তৈরি করেছিলেন।
তখন প্রিন্সেস ডায়ানার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর। তিনি সাজলেন খুবই সহজভাবে। ছোট হীরা বসানো দুল, একটা মানানসই ব্রেসলেট আর নীল ফ্ল্যাট জুতা। কোনো জাঁকজমক নেই, কিন্তু সৌন্দর্যে ঘাটতি নেই।
ডায়ানা আর চার্লস ‘দ্য হোয়েলস অব অগাস্ট’ সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন, পরে ডিনার করেছিলেন মেয়র আর বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে। কিন্তু আসল আকর্ষণ ছিল ডায়ানার সেই গাউন।
এই একটা লুকই প্রমাণ করে দেয়, কীভাবে রাজকীয় স্টাইল আর সৌন্দর্য একসঙ্গে চলে। আজও ফ্যাশনের জগতে যখন প্যাস্টেল শিফন গাউনের কথা বলা হয়। তখন সেই কান উৎসবের কথা আপনাতেই চলে আসে।
ডায়ানার সেই লুক শুধু ইতিহাসের অংশই নয়। বরং সফট গ্ল্যাম ট্রেন্ডের শুরুটা ছিল সেইখান থেকেই।