ঘরের বিড়াল মানেই অলস জীবন নয়। একটু যত্ন নিলেই তারা থাকতে পারে আনন্দে, ব্যস্ততায়। খেলাধুলা আর মজার সব উপায়ে তারা হয়ে উঠতে পারে আরও সক্রিয় ও চনমনে। কীভাবে আপনার প্রিয় বিড়ালটিকে আনন্দে রাখবেন? জেনে নিন সহজ উপায়।
স্ক্র্যাচিং পোস্ট রাখুন: বিড়ালের স্বভাব আঁচড় কাটা। নখের যত্ন ও শরীর প্রসারিত করতে এটি জরুরি। শক্তপোক্ত স্ক্র্যাচিং পোস্ট থাকলে ফার্নিচারও বাঁচবে।
ইন্টার্যাক্টিভ খেলনা দিন: নড়াচড়া করে বা শব্দ করে—এমন খেলনা বিড়ালদের খুব টানে। ব্যাটারিচালিত মাউস কিংবা পালকের ছড়ি এনে দিন, খেলায় মেতে উঠবে।
জানালার পাশে বসার জায়গা: বাইরের দৃশ্য দেখা বিড়ালের অন্যতম প্রিয় কাজ। জানালার ধারে আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা করলে সময় কাটবে অনায়াসে।
লেজার পয়েন্টারে খেলুন: লাল বিন্দু ধরে ফেলার মজায় দৌড়াবে, লাফাবে! তবে খেলা শেষে ধরার মতো কোনো খেলনা দিন, যেন হতাশ না হয়।
ট্রেজার হান্টের মজা: বাড়ির কোণে কোণে লুকিয়ে দিন ছোট ছোট খাবার। এতে বিড়াল যেমন ব্যস্ত থাকবে, তেমনি শারীরিক ব্যায়ামও হবে।
ক্যাট ট্রি রাখুন: উঠা-নামা করা বিড়ালের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। বাড়িতে এক টুকরো ‘গাছ’ বানিয়ে দিলে সে যেমন আরামে থাকবে, তেমনি ব্যস্তও থাকবে।
খেলনায় বৈচিত্র্য আনুন: প্রতিদিন একই খেলনা দিলে বিড়াল আগ্রহ হারাতে পারে। কয়েকটি খেলনা পালা করে দিন, আগ্রহ ধরে রাখুন।
ফেচ খেলুন: কিছু বিড়াল বল ছুড়ে দিলে ফিরিয়েও আনে! ছোট খেলনা দিয়ে চেষ্টা করুন, মজার সঙ্গে ব্যায়ামও হবে।
পাজল ফিডার ব্যবহার করুন: খাবার পেতে বিড়ালকে একটু পরিশ্রম করতে দিন। পাজল ফিডার ঠেলে, গড়িয়ে বা চাপ দিয়ে খাবার পেলে সে থাকবে ব্যস্ত ও সক্রিয়।
ক্যাট গ্রাস দিন: কিছু বিড়াল ঘরের গাছ চিবুতে পছন্দ করে। ক্যাট গ্রাস দিলে তারা নিরাপদে চিবাতে পারবে ও হজমেও সাহায্য পাবে।
ছোটখাটো বাধা পথ: বক্স, টানেল আর কুশন দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ছোটখাটো অ্যাডভেঞ্চার জোন। দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত থাকবে ঘরোয়া বিড়ালও।
ক্যাট টিভির আয়োজন: বিভিন্ন প্রাণীর ভিডিও দেখতে অনেক বিড়াল পছন্দ করে। টিভি বা ট্যাবলেটে এসব ভিডিও চালিয়ে দিন, মনোযোগী থাকবে।
সঙ্গী দিন: একাই যদি বিরক্ত হয়, তবে আরেকটি বিড়াল আনুন। একসঙ্গে খেলবে, দৌড়াবে আর আনন্দে কাটাবে সময়।
সঠিক যত্ন আর খেলাধুলার সুযোগ পেলে ঘরের মধ্যেও বিড়াল থাকতে পারে চনমনে ও আনন্দময়।